পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । নিকট আপনার মহত্ত্ব সগৌরবে ঘোষণা করিতেছে। যতদিন পৰ্য্যন্ত এই সমুদয় অতুল্য কীৰ্ত্তিরাশির শেষ প্রস্তরখণ্ড জগতের বুকে অনু পরমাণুর সহিত মিলাইয়া না। যাইবে ততদিন পৰ্য্যন্ত সাহােজাহানের অক্ষয় নাম কখনও ধরাবক্ষ হইতে মুছিয়া যাইবে না। “পাস” ব্যতীত হিন্দুগণ এই মন্দিরে প্রবেশ করিতে অধিকারী নহেন। নিকটেই পাস পাওয়া যায়, আমরা “পাস’ গ্ৰহণানন্তর মন্দিরে প্রবেশ করিলাম। মন্দিরপ্রাঙ্গণে প্রবেশ করিবার নিমিত্ত উত্তর দক্ষিণ ও পূর্বদিকে তিনটী তোরণ আছে, তন্মধ্যে পূর্বদিকের তোরণটাই উচ্চতায় এবং বিস্তৃতিতে সর্বশ্রেষ্ঠ। ক্রমান্বয়ে ৪৫টীি ধাপ অতিক্রম করিয়া এই দ্বারে পহুছিতে পারা যায়, স্বয়ং সম্রাটও নাকি এই দ্বার দিয়াই মন্দিরে উপাসনাৰ্থ আগমন করিতেন। সিংহদ্বারের উপরিভাগে একটী কক্ষ আছে, উহাতে একটী বেদী দেখিলাম—ঐ বেদীর নাম “শাহ নিসিন” অর্থাৎ সমাটের উপবেশনের স্থান । শুনিলাম যে প্ৰতি শুক্রবার দিবস নামাজ শেষ হইলে সম্রাট আসিয়া এই বেদীর উপর উপবেশন করিতেন, আর নিক্ষে চারিদিকে প্ৰজামণ্ডলী সমবেত হইয়া তাহার দর্শন লাভ করিয়া কৃতাৰ্থ বােধ করিত। এখন সেই ‘শাহ নাসিন’-—ধূলি সমাচ্ছন্ন ও পরিত্যক্ত। মসজিদের অঙ্গসংলগ্ন মিনার দুইটী উচ্চতায় প্রায় কলিকাতার “অক্টালনি মনুমেণ্টের” সমতুল্য হইবে-উহার উপরে আরোহণ করিয়া চতুর্দিকের সৌন্দৰ্য্য দর্শনে হৃদয় আনন্দে ভরিয়া গেল। কি বৃহৎ ও সুন্দর,-কি বৃহৎ ও ভীষণ। এই মহানগরী—তাহা ভাবিলেও মনােমধ্যে শোকতরঙ্গ সমুথিত হইয়া ব্যাকুলিত করিয়া দেয়। মসজিদের বৃহত্ত্ব সম্বন্ধে একথা বলিলেই যথেষ্ট হইবে যে উহাতে এক সঙ্গে এক লক্ষ লোক নমাজ পড়িতে পারে। বৰ্ত্তমান সময়েও প্রতিদিন সান্ধ্যোপাসনার সময় প্ৰতি শুক্রবার এখানে প্ৰায় তিন সহস্ৰলোক সমবেত হয়। মসজিদের অগ্নি কোণে একটা সূৰ্য্য v. Cwfelta fris Queen's Garden বা রাণীবাগ আকারে কলিকাতার ইডেন গার্ডেনের সমকক্ষ হইবে । বেলা প্ৰায় দ্বিপ্রহরী পৰ্য্যন্ত প্ৰাসাদদর্শনেই অতিবাহিত হইল, অপরাহুে নগরস্থ প্ৰধান রাজপথ ধরিয়া বেড়াইতে আরম্ভ করিলাম। ইহা S88