পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতার সুপ্ৰসিদ্ধ রাজবন্ত্ৰ হারিসন রোড হইতে কোন অংশেই এই রাজবস্তৃর্ণ কম নহে, বরং কোন কোন স্থলে অধিক বলিয়াই মনে হইল। চাদনীচকের এই রাজপথের উভয় পাশ্বে উচ্চ ও সুদৰ্শন বিটপীশ্রেণী । পৰ্যটকের মন মুগ্ধ করিয়া ফেলে। কলিকাতা মহানগরীর সমগ্র আপনশ্ৰেণী যদি এক স্থানে সমাবেশ হইত। তাহা হইলে যেরূপ দৃশ্য হয়। চাঁদনীচকে সেইরূপ মহান দৃশ্যই দৃষ্ট হয়, ভারতের আর কোনও নগরে এইরূপ প্ৰসিদ্ধ। বিপণি শ্রেণীর সমাবেশই দৰ্শন করি নাই। এই প্ৰসিদ্ধ রাজপথের | মধ্যস্থানেই ব্রিটিশ নিৰ্ম্মিত fists (Clock tower) site sists বিরাজিত, ইহা ইংরেজ রাজের গৌরবময় কীৰ্ত্তি স্তন্ত— কিন্তু জুম্মামসজিদ ংলগ্ন মিনার দ্বীয় অপেক্ষা উচ্চতায় শ্রেষ্ঠ নহে। “Travels of a Hindoo" নামক গ্রন্থ প্রণেতা স্বপ্রসিদ্ধ ভোলানাথচন্দ্র ইহার 18C stafa feifritage. “In all Delhi, the highest building is the Jumma Musjeed, towering above every other object, and seen from every part of the city." আগরা তোরণের সম্মুখ হইতে দক্ষিণ দিকে যতদূর দৃষ্টি ধাবিত হয়, কেবল শ্মশানের বিভীষিকা—সমাধির পরে সমাধি তারপরে সমাধি, ধ্বংসের } ভীষণামূৰ্ত্তি এখানে প্রকটত। যে স্থানে এক দিবস পাঠান রাজের রাজ- ; প্রাসাদ বিদ্যমান ছিল, এখন তাহ ধ্বংসের বিভীষিকা চিত্র প্রকাশিত করিতেছে, এই ভগ্নস্তুপের উপরেই সম্রাট অশোকের স্তম্ভ স্থাপিত, ইহা সম্রাট ফিরোজ সাহ স্থানান্তরিত করিয়া আনিয়া এখানে স্থাপন করিয়াছিলেন। যে দুর্গের শীর্ষদেশ হইতে সম্রাট হুমায়ুন পদস্থলিত হইয়া মৃত্যুমুখে পতিত হইয়াছিলেন—সেই দুর্গ এখনও কালের ভীষণ আক্রমণ হইতে কোনওরূপে আপনার অস্তিত্ব রক্ষা করিয়া আসিতেছে। বিস্থ্যোৎসাহী সম্রাট হুমায়ূন যখন দুর্গ মধ্যস্থ পাঠাগারে বসিয়া গ্রন্থালোচনা করিতেছিলেন, সে সময়ে । সান্ধ্যোপসনার ‘আজীন ধ্বনি শ্রবণে দ্রুতপদে প্রাসাদোপরি হই অবতরণের সময় মৰ্ম্মর মণ্ডিত সোপানা-বলী হইতে পদস্খলিত হইয় প্রায় । পঞ্চবিংশ হস্ত পরিমিত উচ্চ স্থান হইতে মৰ্ম্মর মণ্ডিত প্রাঙ্গনে পণ্ডিত। SS