পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিল্লী। অট্টহাসিনী রণরঙ্গিণী সমরে নৰ্ত্তন করিয়াছিলেন সেদিন এখন কোথায়? কুতবের পদতলে বসিয়া তাহার ঐ গগনভেদী শুভ্ৰমস্তকের দিকে চাহিয়া চাহিয়া আমার মন সুদূর অতীতের কোন অজ্ঞাতে স্বপ্নরাজ্যে মিলাইয়া যাইতেছিল তাহা আর খুজিয়া পাইতেছিলাম না। এখন ত আর কোন মুসলমান সন্ধ্যায়। ইহার উপর হইতে উচ্চে প্রার্থনার আহবান করে না ? এখন ত আর কোনও রাজকন্যা যমুনা-দর্শনের জন্য ব্যগ্র হইয়া দ্রুতপদে ইহার মস্তকোপরি আরোহণ করে না! চারিদিকের ধ্বংসের মধ্যে কুতব বজাহত তরুর ন্যায় কালের দারুণ কাষাঘাত সহিয়া এখনও অটল দেহে কুতবের উপর হইতে চতুর্দিকের দৃশ্যাবলী মন মুগ্ধ করিতেছিল। দূরে সূৰ্য্য-কিরণে নীলবসনা যমুনাস্থন্দরী রজতরেখার স্যায় প্রতীয়মান হইতেছিল—আর চতুদিকের ধ্বংসাবশেষের মধ্য দিয়া সৌধশ্রেণীর পর সৌধশ্রেণী তারপরে সৌধশ্রেণী মাথা তুলিয়া দাড়াইয়া দিল্লীর নাগরিক সমৃদ্ধির পরিচয় দিয়া উদভ্ৰান্তচিত্তকে বিস্ময়ে বিমুগ্ধ করিয়া দিয়াছিল। ঘুরিয়া ফিরিয়া উঠিতে বড়ই ক্লেশ বোধ হইয়াছিল, প্ৰত্যেক তলে উঠিয়াই আমরা বিশ্রাম করিয়া লইয়াছিলাম। উপরে বহুক্ষণ বিশ্রাম করিয়া নিম্নে অবতরণ করিলাম, মৃদুমন্দ শীতল সমীরণ আসিয়া আমাদের পরিশ্রান্ত কপোলদেশে স্নেহময়ী জননীর স্নেহশীর্বাদের মত সুকোমল ভাবে। বীজন করিতেছিল। চারিদিকে রৌদ্রের প্রখর কিরণ, তার মধ্যে কি এক শীতলতা ! কি এক শান্ত ও উদার সৌন্দৰ্য্য ! ! কুতবের নিম্নে এবং তাহার অতি নিকটে আর একটীি भिनॉटद्रन डिद्धि মসজিদ কুতুল দর্শন করিলাম। ইহার ভিত্তি কুতবের ভিত্তির প্রায় দ্বিগুণ ইসলাম। হইবে। প্ৰচলিত হিন্দু জনপ্ৰবাদ হইতে জানিতে পারা যায় যে পৃপূিমাজ স্বীয় কন্যার গঙ্গা সন্দর্শনার্থ ইহা নিৰ্ম্মাণ করিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন, কিন্তু মুসলমানের আক্রমণে তাহা শেষ করিতে পারেন নাই। কিন্তু মুসলমানেরা বলেন যে ইহাও আলাউদ্দীন কর্তৃকই নিৰ্ম্মিত হইতে আরম্ভ হয়। কিন্তু তিনি পীড়িতাবস্থায় পতিত হওয়ায় তাহা আর শেষ করিয়া যাইতে পারেন নাই। মিনারের পাদদেশে “মসজিদ কুয়তুল ইসলাম ! অর্থাৎ Sea