পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/২৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । মতই বৃহত্তম ছিল। দেখিবার মধ্যে তোগলকাবাদের দুর্গ সত্য সত্যই মনোযোগ আকর্ষণ করিয়া থাকে। দুর্গের পশ্চিম, উত্তর ও পূর্বভাগ পরিখা দ্বারা সুবেষ্টিত । ইহার দক্ষিণ প্ৰান্তে যেদিকে পাহাড় কাটিয়া ফেলিয়া খাড়া করা হইয়াছে তাহারি দক্ষিণধারে একটি প্ৰকাণ্ড জলাশয় অবস্থিত। এই সরোবরের সমতল হইতে প্রাচীরের উচ্চতা প্ৰায় ৯০ ফুট হইবে। দুর্গের দক্ষিণাংশে রাজ প্রাসাদের ভগ্নাবশেষ পড়িয়া রহিয়াছে। প্রাচীরের দিকে যে একশ্রেণী গুম্বজযুক্ত ছোট ছোট ঘর দেখিতে পাওয়া যায় তাহাতে বোধ হয় দুৰ্গরক্ষক সৈন্যগণ বাস করিত। দুর্গ প্রবেশের নিমিত্ত ত্ৰয়োদশটা তোরণ, এবং দুর্গাভ্যন্তরস্থ রাজপ্রাসাদে প্ৰবেশ করিবার জন্য তিনটী দ্বার এখনও দেখিতে পাওয়া যায়। দুর্গাভ্যন্তরে সাতটা সরোবর এবং তোগলক সাহের সমাধি-মন্দির, জামে মসজিদ, বুজ মন্দর প্রভৃতি বহু সৌধমালা বিরাজিত আছে। এ সকলের মধ্যে তোগলক সাহের সমাধি-মন্দিরটি বিশেষরূপে উল্লেখযোগ্য এবং একমাত্ৰ প্ৰধান দর্শনীয় একথা বলিলেও কোনরূপ অত্যুক্তি হয় না। আমরা প্ৰথমে তাহার বিষয়ই লিপিবদ্ধ করিলাম। তোগলক সাহার সমাধি-মন্দির তাহার পুত্ৰ মহম্মদ তোগলক কর্তৃক নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। তোগলক সাহার এই সুন্দর সমাধিমন্দিরটা তোগলকাবাদের দক্ষিণদিকের প্রাচীরের বাহিরে সরোবর মধ্যে পঞ্চভুজ প্রাচীর দ্বারা ঘেরা এবং প্রায় ৬০০ ফুট দীর্ঘ একটী প্ৰস্তর নিৰ্ম্মিত পুল দ্বারা তীরের সহিত সংলগ্ন । পুলটি ২৭টীি খিলানের উপর রক্ষিত। সরোবরের মধ্যে এই সমাধি-মন্দির অবস্থিত থাকায় দেখিতে অত্যন্ত মনোহর বোধ হয় । কবরের মন্দিরের বহির্ভাগ দৃঢ় অথচ মনোহর। স্নান। অথচ উজ্জ্বল কেমন যেন এক সৌন্দৰ্য্য ইহার সর্বাঙ্গে বিজড়িত। মন্দিরের মধ্যে তিনটি কবর, একটীিতে তোগলক সাহ নিজে বসুন্ধরার স্নেহময় কোলে চিরনিদ্রিত, আর একটি তদীয় মহিষী৷ মখদুমে জাহা অর্থাৎ জগন্মান্যা, তৃতীয়টীিতে তোগলক সাহার পুত্ৰ মহম্মদ সাহ পিতামাতার স্নেহময় কোলে নিদ্রিত রহিয়াছেন। এক সময়ে এই সমাধিত্রয় শ্বেতমশ্মর প্রস্তরে পরিশোভিত ছিল, কিন্তু এখন তাহ দেখিতে পাইলাম না। সমাধি-মন্দিরের উপরিস্থিত শ্বেতমশ্মরের বৃহৎ গম্বুজটা SV8