পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আসিলেই সম্মুখে নানা কারুকাৰ্য্যময় সমাধিমন্দির। পৰ্য্যটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সমাধিমন্দিরের দুই পাৰ্থে যে দুইটী ছোট মন্দির আছে, উহার একটী শাহহান এবং অপরটি ঔরঙ্গজেব নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন। বৰ্ত্তমান সময়ে এইরূপ বহুমূল্যদ্রব্যাদিখচিত সমাধিমন্দির ভারতে আর অতি অল্পই বিদ্যমান আছে । সমাধিস্থলের চারিদিকে রৌপ্যনিৰ্ম্মিত রেলিং ; তদুদ্ধে জরির কাজ করা পরম সুন্দর চন্দ্ৰাতপ । সমাধিটি স্বর্ণ ও রৌপ্য দ্বারা মণ্ডিত। এ স্থানের কপাটগুলি সমুদয়ই । রৌপ্যমণ্ডিত। নানাদেশের মুসলমান ভূপতিগণের অকাতর অর্থব্যয়ে ইহা একটী পরম রমণীয় স্থানে পরিণত হইয়াছে। অতঃপর আমরা দুৰ্গ দেখিতে গমন করিলাম। উহা তারাগড় নামে খ্যাত। এই দুর্গ একটী পাহাড়ের উপর নিৰ্ম্মিত । দুর্গের নামে এখন পাহাড়টিও তারাগাড়ের পাহাড় নামে খ্যাত। তারাগড় পাহাড়টি আজমীর নগরীর দক্ষিণ পশ্চিম প্ৰান্তে অবস্থিত। অজয়পালের সেই অজয় মেরুদুর্গের এখন অস্তিত্ব বিলুপ্ত হইয়া গেলেও নাম এখনও মানবের স্মৃতিপট হইতে মুছিয়া যায় নাই। প্রাচীন দুর্গের চিহ্নের মধ্যে এখন একটা তোরণের ভগ্নাবশেষ ব্যতীত আর কিছুই দেখিতে পাওয়া যায় না। এই তোরণটি ওমানজী সিন্ধিয়া কর্তৃক নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল বলিয়া কথিত আছে। আজমীরের অন্যান্য দর্শনীয় স্থান সমূহের মধ্যে মেয়ে কলেজ, বাগান, ঘণ্টাস্তম্ভ, দৌলতাবাদ ইত্যাদি বিখ্যাত। মেয়াে-কলেজ রাজপুতানায় রাজকুমারদিগের পাঠের নিমিত্ত । ইহা ছাড়া আর একটী কলেজ আছে, তাহাতে সৰ্বসাধারণেই অধ্যয়ন করিতে পারে। দৌলতাবাদ সম্রাট জাহাঙ্গীর কর্তৃক নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, তিনি এই পরম সুন্দর উদ্যান उांद्रांशं छुर्गे । নিৰ্ম্মাণ করিয়া মাঝে মাঝে আসিয়া বাস করিতেন। প্ৰাচীন সমৃদ্ধি অন্তৰ্হিত " من ... করা হইয়া থাকে। ফটকের পর এক আঙ্গিনা, তাহা পার হইয়া । হইলেও, দৌলতাবাদ বৰ্ত্তমান সময়েও পৰ্যটকের মনােমুগ্ধ করিয়া থাকে। আজমীরে চারিদিকে নীল পৰ্বতশ্রেণী সুন্দর তরুলতা পরিশোভিত। আজমীর অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর স্থান। সহরে জলের কল আছে, খাদ্যদ্রব্য ও ভৃত্য ইত্যাদি অত্যন্ত সুলভ। স্বাস্থ্যপরিবর্তনেচ্ছ বাঙ্গালীর