পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/২৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*' + Y - , umunumo . এই গৃহগুলি কিরূপ সুন্দর সুন্দর সাজ-সজ্জায় সুশোভিত থাকিত। রাজবাটীর ঠিক মধ্যস্থলে মহারাজার আবাস ভবন “চন্দ্ৰমহল” নামক সুন্দর। প্রাসাদটি বিরাজিত। এই অট্টালিকাটি ত্রিতল এবং ইংরেজী স্থাপত্যানুসারে । নিৰ্ম্মিত—গৃহটি ইংরেজী উপকরণে সুসজ্জিত। অট্টালিকার পশ্চাতে প্রশস্ত। ও মনোহর পুষ্পকানন, জলপ্ৰণালী ও ফোয়ারা ইত্যাদি দ্বারা সুশোভিত। কৃত্রিম ও অকৃত্ৰিম শোভায় ইহা দর্শকের মন মুগ্ধ করিয়া থাকে। শ্রেণীবদ্ধ । তরুশ্রেণী, নানাজাতীয় প্রস্ফুটিত কুসুম বৃক্ষনিচয়, লতাকুঞ্জ, মখমলের ন্যায় । বিস্তারিত সবুজ-সুন্দর ঘাস,-প্ৰত্যেক দৃশ্যই যেন সুন্দর ও মনোহর। অনেক সময় স্বভাবকেও কৃত্রিমতার সাজে সাজাইলে কতদূর যে নয়ঙ্কমন মুগ্ধ করে, তাহা এই উদ্যান দর্শন করিলে, সহজেই অনুভূত হয়। এই উদ্যানের অপর প্রান্তে ‘গোবিন্দজীউ’র মন্দির বিরাজিত—ইনি বৃন্দাবন হইতে আনীত হইয়া এস্থানে স্থাপিত আছেন। মূৰ্ত্তিটি কৃষ্ণপ্ৰস্তর নিৰ্ম্মিত, দেখিতে মন্দ নহে। তবে ইহার সৌন্দৰ্য্য সম্বন্ধে লোকমুখে যতটা শুনিয়াছিলাম-চক্ষে ততটা দেখিলাম না । ভক্ত নহি, ভক্তির চক্ষে দেখিতে পারি নাই, তাই কি ? গোপিনী-মনোমোহন আপনার সৌন্দৰ্য্যটুকু আমার নয়ন হইতে মুছিয়া লইয়াছিলেন ? গোবিন্দজীর মন্দিরের নিমিত্ত জয়পুর হিন্দুমাত্রেরই মহাতীৰ্থ স্থান। প্ৰতিদিন সন্ধ্যার সময় আবালবৃদ্ধবণিতা গোবিন্দজীর আরতি দর্শনাৰ্থ । গমন করেন। সে এক রমণীয় দৃশ্য। গোবিন্দজীর নিত্য পূজার দৃশ্য আরো ; মনোহর। আমরা এস্থানে গোবিন্দজীর উদ্দেশে বিরচিত একটী সঙ্গীত প্ৰকাশ করিলাম। এই সঙ্গীতটীি বৰ্ত্তমান মহারাজা দ্বিতীয় মাধব সিংহজীর বৃদ্ধ পিতামহ মহারাজ প্ৰতাপসিংহ-কর্তৃক বিরচিত। গানটি এই,- “আজি মিলে মোহে গোবিন্দ প্যারো, নেনন ভর ভর রূপ নিহারে । শ্যামলি সুরত মাধুরী মুরত, চঞ্চল উছল জোবন মতবারো। আজ মিলো মোহে গোবিন্দ প্যারো। নাভি গভীর, উদর-রোমাবলী, কুস্তুভ মণি নকৰেসর বারো। মোর মুকুট পীতাম্বর সোহে শ্রুতি কুণ্ডল মকরাকৃতি বারো। : ; আজ মিলো মোহে গোবিন্দ প্যারো, রাজা প্ৰতাপসিংহ স্মরণ তিহাস্কো । তন মন ধন চরণ পর বারো, আজ মিল মোহে গোবিন্দ পারে৷ ” । । R8