পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/২৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डब्रिड-अभ• । চিত্রশালা আছে, উহা দুইটী সুন্দর ও বৃহৎ ভিন্ন ভিন্ন কক্ষে অবস্থিত। ইহার সম্মুখস্থ বারান্দায় জয়পুরের পূর্ববৰ্ত্ত নরপতিগণের চিত্র-সমূহ অঙ্কিত রহিয়াছে। একটা সুপ্ৰশস্ত দ্বিতল উচ্চ হল এবং তাহার তিন পার্শ্বে কক্ষের সারি, তাহার পার্শ্বে একটী সুন্দর প্রাঙ্গণ, তাহার চারিদিকে প্রকোষ্ঠ সমূহ অবস্থিত। হলের উপরিস্থিত গবাক্ষে, কাচে নানা বর্ণে নলদময়ন্তী, সীতাবৰ্জন, শ্ৰীকৃষ্ণের ব্রজলীলা, আলেকজেণ্ডার কর্তৃক দরায়ুর পরাজয়, হনুমানের লঙ্কাদহন এবং দ্ৰৌপদীর বস্ত্ৰহরণ ইত্যাদি আলেখ্য-সমূহ বৰ্ণবিচিত্ৰতায় এবং চিত্রনৈপুণ্যে মন মুগ্ধ করিয়া ফেলে। এই সুসজ্জিত দরবার ঘরের পরেই মিউজিয়ম বা চিত্রশাল দর্শন করিলাম। কলিকাতার সুপ্ৰসিদ্ধ চিত্রশালার আকৃতির তুলনায় ইহা হীন বলিয়া বিবেচিত হইলেও কোন কোন BBBBB BrSDD uBDBB BB BDDD DDSDD DBDB DDD SS SMLLD EBJBDDBB DDD সূক্ষকাৰ্য্য-সমন্বিত দেব-দেবীর মূৰ্ত্তি, ধাতব অস্ত্ৰ-শস্ত্র ও ক্রীড়া-পুস্তলিকাদি দৰ্শন-যোগ্য। রামবাগ মধ্যে যে মনোহর উদ্যান এবং সুন্দর সুন্দর আটালিকা বিরাজিত, শুনিলাম যে কেবল সেইগুলি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখিতেই মহারাজার বার্ষিক ত্ৰিশ হাজার টাকা ব্যয়িত হইয়া থাকে । আমরা যখন মিউজিয়ম ও এলবাৰ্ট হল ইত্যাদি দেখিয়া বাহির হইলাম, তখন সন্ধ্যা হইয়াছে, আকাশে তারকামালা ফুটিয়াছে ও ব্যাণ্ডের মধুর বাদ্যে চারিদিকে একটা হর্ষ-কোলাহল ব্যাপ্ত হইয়া পড়িতেছে। আলোতে, বঁাশীতে, বাতাসের শীতল-স্পর্শে ক্লান্তি দূরে গমন করিল-প্ৰাণে শান্তি ও সুখের উদয় হইল । জয়পুরে অন্যান্য দর্শনীয় স্থান-সমূহের মধ্যে মেও-হাসপাতাল মহারাজের কলেজ ও নগর-প্রাচীরের বাহিরে গেখুরে মহারাজাদিগের সমাধি দৰ্শনযোগ্য। এই সমাধি স্থানের সাধারণ নাম ছাত্রী-ইহার চতুদিকেও সুন্দর বাগান । উহার মধ্যে জয়সিংহের ছাত্রীই দেখিতে অত্যন্ত মনোহর । জয়পুর হইতে দেড় মাইল দূরে পাহাড়ের উপর সূৰ্য্যদেবের একটা বৃহৎ মন্দির আছে, তাহাও উল্লেখ যোগ্য। এই দেবমন্দিরের নাম গুলতা, এখানে একটী প্রস্রবণ হইতে, ৭০ ফিট নিম্নে অনবরত জল পতিত হয়। হিন্দুদের নিকট এই জলও অত্যন্ত পবিত্ৰ বলিয়া বিবেচিত। ডাকঘর, brb