পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/২৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* জয়পুর দর্শনান্তে আমরা অম্বর রওয়ানা হইলাম। অম্বর জয়পুর রাজ্যের প্ৰাচীন রাজধানী। এতদেশবাসিগণ সাধারণতঃ ইহাকে “আমের কহে। জয়পুর হইতে অম্বর পাঁচ মাইল দূরে । অবস্থিত। অম্বর পথাভিমুখী ফটকের নাম “আমেরিকা দরওয়াজা”—আমরা সে দরওয়াজা দিয়া একা-আরোহণে অম্বর চলিলাম। পথের উভয় পার্থে পৰ্পর্বতশ্রেণী। এ সকল পাহাড়ে বৃক্ষলতা একপ্ৰকার নাই বলিলেও কোনরূপ অত্যুক্তি হয় না। ধীরে ধীরে বক্রগতিতে আমাদের যান ক্রমশঃ উদ্ধ হইতে আরও উদ্ধে আরোহণ করিতে লাগিল। পথের উভয় পার্শ্বে পুরাতন আমেরের দুৰ্দশা দেখিতে দেখিতে যাইতে লাগিলাম। জগতে স্থায়ী কি ? হায়! মানবের চেষ্টা, যত্ন উদ্যোগ সমুদায়ই ধরাগর্ভে বিলীন হইয়া যায়। মাতঃ বসুন্ধারে, তুমি কি দয়াবতী না রাক্ষসী ? নিজ সন্তানকে নিজেই আবার গ্রাস করিতেছ— যে ফুলটি তোমার বুকে ফুটিয়া উঠে, যে পাখীটি তোমারি কোলে গান গায়, যে কবি তোমার মহিমার তান ধরে—তুমি সর্বনাশী। কিনা আবার তাহাকেই গ্রাস করিয়া ফেল। জানি না, মা তোর এ কেমন বিশ্বগ্রাসী নীতি— সৃষ্টি ও ংসের বিকটলীলায় প্ৰাণ অহরহঃ আকুল-ক্ৰন্দনে ব্যাকুল--তবুও পাষাণী—তবুও রাক্ষসী, তুই তাহা শুনিস না। হায়! জগতে কি এমন কেহই নাই, যিনি মানবের এ দুঃখমোচন করিতে পারেন ? কে করিবে ? হায় মুঢ় আমি !-ইহা যিনি করিতে পারেন, এ যে তঁহারই লীলা ! বেলা প্ৰায় এগার বারটার সময় আমরা অম্বর পহুছিলাম, নিৰ্জন নিভৃত স্থানে এই মনোহর নগরট অবস্থিত। অম্বরের যাহা কিছু শোভাসম্পদ সে সমুদয় মহারাজা মানসিংহ, কর্তৃকই সম্পাদিত হইয়াছিল। অম্বরের নামোৎপত্তি সম্বন্ধে দুইটী বিভিন্ন । মত প্ৰচলিত আছে। কাহারও কাহারও মতে, অম্বাদেবীর নাম হইতেই সহরের নামোৎপত্তি হইয়াছে, আবার কাহারও কাহারও বিশ্বাস, অম্বরে যে অম্বকেশ্বর নামক শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত আছেন, তাহার নাম হইতেই অম্বর নামের উৎপত্তি। এ সমুদয় জনপ্ৰবাদ যাহার যেরূপ ইচ্ছা তিনিই তদ্রুপ বিশ্বাস করিতে পারেন। অম্বর আসিতে হইলে জয়পুর হইতে পাশ অম্বর । 四牙颈可引颈山