পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৩০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দিক বেষ্টন করিয়া একটী পার্শ্ব-গৃহ আছে, এই গৃহের কারুকাৰ্য্য। দর্শনে হৃদয়ে যে আশ্চৰ্য্য-ভাবের উদয় হইয়াছিল, তাহা বৰ্ণনাভীত। এ গৃহের প্রতি কাৰ্য্যই সূক্ষম শিল্প-নৈপুণ্যের পরিচায়ক। শ্বেত প্ৰস্তয় । খুন্দিয়া এমন সুন্দর সুন্দর প্রস্তরের ফুল ইহাতে অঙ্কিত হইয়াছে যে তাহা কৃত্রিম বলিয়া বােধ হয় না—প্রতি পাপড়ির নিৰ্ম্মাণে স্বভাবের পূর্ণ সৌন্দৰ্য্য অভিব্যক্ত ! প্রাচীরের ধারে নানা বিভিন্ন বর্ণের সুন্দর ছোট প্ৰস্তরের সারি অতি নিপুণতার সহিত সুসজ্জিত—যে যে স্থান হইতে সে সকল প্ৰস্তর অপহৃত হইয়া গিয়াছে, সে সকল স্থান অন্য প্ৰস্তর দ্বারা পূরণ করা হইয়াছে কিন্তু তাহাতে পূর্ব সৌন্দৰ্য্যের হানি হওয়ায় শিল্পজ্ঞান-হীন সাধারণ দর্শকের নিকটেও অতি বিষদৃশ বলিয়া প্রতীয়মান হয়। পার্শ্ব-গৃহের সূক্ষ সূক্ষম শিল্প-নৈপুণ্য দর্শনান্তে আমরা মধ্যস্থ কবরের নিকট । আসিলাম—এই কবর যে কি সুন্দর,-কি সুন্দর প্রস্তর-কুসুমে সুসজ্জিত, তাহা ভাষার সাহায্যে ব্যক্ত করিবার প্রয়াস হাস্যজনক। নানা দেশ-দেশান্তর হইতে আনীত নানা বর্ণের প্রস্তরের মিশ্রণকাৰ্য্য বা মোজেয়িক শিল্পে এই সকল ফুল, লতা, পাতা অঙ্কিত। কবর ব্যতীত অনেক স্থলেই এই শ্রেণীর কারুকাৰ্য্য বৰ্ত্তমান। সমাধি-গৃহের সম্মুখের দ্বার ভিন্ন তাজের অন্যান্য সমস্ত দ্বারই মৰ্ম্মর প্রস্তরের জাফরি বা জালতি দ্বারা আবদ্ধ। অন্য সমস্ত কবাট ও চৌকাঠ চন্দন কাষ্ঠে নিৰ্ম্মিত। কবরের পার্শ্বে দাড়াইয়া সেই সুন্দরী অৰ্জমন্দ বানু বেগমের কথা মনে ভাবিলাম। ধন্য তুমি! ना জানি রূপসী, তুমি কতই সুন্দরী ছিলে যে বাদশাহ্ তোমার সমাধির উপর সে। সৌন্দৰ্য্যের সম্মান রক্ষার্থ এই অনির্বাচনীয় সৌন্দৰ্য্যময় সমাধি-মন্দির নিৰ্ম্মাণ তাজমহলের উৎপত্তির ইতিহাসটি অতি সুন্দর। কথিত আছে, ষে, একদিন মমতাজ বেগম ভারতেশ্বর শাহজাহীর সহিত শতরঞ্চি ক্রীড়া করিতে করিতে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, “র্জাহাপনা, যদি আমি আপনার পুর্কে