পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৩১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৮।<। মাত , ৭৩ হাঁহ পাসা ,, আরামবাগ* - শব্দই পারে- লোকমুখে রামবাগে । পরিণত হইয়াছে। সে যাহা হউক, ইহা যে সম্রাট্র বাবর কর্তৃক নিৰ্ম্মিত । হইয়াছিল, তাহা সৰ্বজন-বিদিত। আকবরের সময়ে আরামবাগ উষ্ঠানের - বিশেষ প্রতিপত্তি ছিল। সুন্দরী-কুল-শিরোমণি নূরজাহা বেগম “এস্থানে । কিছুকাল বাস করিয়াছিলেন। নগরের কোলাহল হইতে দূরে এই স্থানটি বিজনতার সুন্দর জীবন্ত ছবি। প্রাচীনের চিহ্ন বৰ্ত্তমানে কিছুই নাই, কেবল । কতকগুলি ফলের বৃক্ষ বর্তমান থাকিয় প্রাচীন ঐশ্বর্ঘ্যের পরিচয় দিতেছে। বৰ্ত্তমান উষ্ঠানটি নিতান্ত আধুনিক, কিন্তু বড়ই সুন্দর। এ স্থানে লোকে স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য আসিয়া থাকে। আরামবাগ फ्लिक् যমুনার কুলে অবস্থিত থাকায়—ইহার শীতলতা বড়ই তৃপ্তিপ্রদ। বাগানের পাশ্বস্থ একটা সিড়ি দিয়া মৃত্তিক নিম্নস্থ একটা বহু প্রাচীন অন্ধকার ঘরের মধ্য দিয়া যমুনার তটস্থ এক ভগ্ন ঘাটে উপনীত হওয়া যায়। আরামবাগের তরুশ্রেণীর ছায়ায় উপবেশন করিয়া যমুনা-শীতল-শীকর-সিক্ত সমীরণ উপভোগ করা বড়ই তৃপ্তি ও শান্তি প্ৰদায়ক । ] এখন আগ্রার বিখ্যাত দুর্গের কথা বলিব। প্রত্যুষে গাত্ৰোত্থান । করিয়া এহতিমান-উদ্দৌলা ও আরামবাগ দর্শন করিয়াছিলাম ; মধ্যাহ্নে আহারাদির পরই দুর্গ দেখিতে যাত্ৰা । করিলাম। দুর্গ দেখিতে হইলে “পাস” সংগ্ৰহ করিতে হয়, আমরা পূর্বাহেই পাস সংগ্ৰহ করিয়া রাখিয়াছিলাম। আগ্রার দুর্গকে দুর্গ বলিলে যাহা বুঝায় তাহা ভ্ৰম, কারণ ইহা আধুনিক প্ৰণালীতে নিৰ্ম্মিত দুর্গ নহে। ইহাকে একটা পরিখা-বেষ্টিত প্রাচীর । বদ্ধ প্রাসাদ বলিলেই অধিকতর সঙ্গত হয়। আমরা মধ্যাহ্ন-সূৰ্য্যের প্রখর কিরণে—পুড়িতে পুড়িতে দুর্গের দ্বিতীয় দ্বারের নিকটে আসিয়া উপনীত । হইলাম, সেখানে একজন গোরা সৈনিক পাহারা দিতেছিল। তাহাকে পাশ । দেখাইবামাত্র সে বিনা বাক্যব্যয়ে আমাদিগকে দুর্গে প্রবেশের পথ ছাড়িয়া । দিল। সম্রাট আকবর এই দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করেন, তবে দুর্গ মধ্যস্থ সমগ্ৰ

  • "আৱামী সংস্কৃতেও আছে, তাহার অর্থ “উস্তান। সে অর্থে আরাম-ৰাগ শব্দে পুনরুক্তি ঘোৰ । হয়। কিন্তু এরূপ অনেক দেখা যায়। . . . . . . . .

আগরার छ्त्रं