পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৩১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মঞ্চোপরি অন্য কেহ উপবেশন করিলে তখনি তাহার মুখে রক্ত উঠিয়া মৃত্যু হইবে। এসব জনপ্রবাদে কোনও সত্য নিহিত আছে কি না এবং তাহা পরীক্ষিত হকীয়াছে কি না, সে বিষয়ে কিছুই জানিতে পারিলাম না। নিজেও পরীক্ষা করিবার কৌতুহল দমনই করিয়াছিলাম। পূর্বে দরবার-গৃহের উপরিভাগ নাকি সুবর্ণ-খচিত ছিল, এখন কিন্তু তাহার। কোন চিহ্নই বিদ্যমান নাই। একদিন যে গৃহ আমীর ওমরাহদ্বার পরিবৃত থাকিত, যেখানে মহিমান্বিত মোগল সম্রাটগণ উপস্থিত থাকিয়া প্ৰজার আবেদন-নিবেদন শ্রবণ করিতেন, এখন তাহা নীরব নিৰ্জন ও পরিত্যক্ত । কোথায় বা সেই মোগল সম্রাটু-কোথায় বা সেই আমীর ওমরাহ! এখন কেবল মাত্র অতীতের চিহ্ন স্বরূপ ‘দেওয়ানী আম” বিদ্যমান আছে, নচেৎ তাহার পূর্ব সজীবতার কিছুই নাই। কালের কি অভূতপূর্ব পরিবর্তন ! দেওয়ানী আমের পূর্বদিকেই মচ্ছিভবন অবস্থিত, মচ্ছিভবনকে একটা লোহিত প্ৰস্তর বিনিৰ্ম্মিত দ্বিতল সৌধ বলিলেই ঠিক হয়ইহার প্রশস্ত অঙ্গন মধ্যে পূর্বে জলাশয় ছিল এবং মচ্ছি।ভবনের বারাণ্ডায় উপবেশন করিয়া সম্রাট ও বেগমের মৎস্য-শিকার করিতেন । ইহার ঠিক উত্তর পশ্চিম কোণে শ্বেত মৰ্ম্মর প্রস্তর নিৰ্ম্মিত একটা মসজিদ আছে। উহা ক্ষুদ্র হইলেও দেখিতে বেশ সুন্দর, উহার নাম “নাগিনা মসজিদ।” দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে ইহা ৩০ × ১৮ ফিট, ইহার কারুকাৰ্য্য এতদূর সুন্দর ও গঠনের এমনি নৈপুণ্য যে দেখিলে বোধ হয় যেন ইহা অতি অল্প দিন হইল নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। এই মসজিদে হেরোমের মহিলাগণ । নমাজ পড়িতেন, ইহার উজ্জ্বল শ্বেতবর্ণ অপূর্ব দীপ্তিমাখা, ক্ষুদ্র হইলেও সৌন্দৰ্য্যে যে ইহার শ্রেষ্ঠত্ব খুব বেশী তাহা বলা বাহুল্য माऊं । मः ঙ্গের সম্মুখে গোলাপ জলের ফোয়ারা ও ইহার সন্নিকটেই মিনাবাজার নামক বেগমদিগের বাজার অবস্থিত, কথিত আছে যে এই বাজারেই বেগমগণ পছন্দানুযায়ী দ্রব্য-সামগ্ৰী ক্রয় করিতেন, বাজারের গৃহস্থ কক্ষগুলি লোহিত প্ৰস্তর নিৰ্ম্মিত। একজন গাইডের প্রমুখাৎ অবগত হইলাম যে এই बछिङबन।