পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৩৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরও প্রায় দুই মাইল দূরে। আমরা গাড়ীতেই অগ্রসর হইতে লাগিলাম।-- আগ্রা হইতে এস্থান ২২ মাইল। প্রকৃত পক্ষে এইস্থান হইতেই আকবর শাহের প্রাচীন ফতেপুর-সিক্রি আরম্ভ, এই পথের উভয় পার্শ্বেই উদ্যানাদির ভগ্নাবশেষ এবং স্থানে স্থানে স্তুপীকৃত লোহিত প্ৰস্তরখণ্ড সমূহ অতীতের সাক্ষ্য স্বরূপ বিদ্যমান। এখান হইতে দুই দিকে দুইটী রাস্তা গিয়াছে, দক্ষিণ দিকে রাস্তাটি অবলম্বন করিয়া উদ্ধাদিকে অগ্রসর হইলে সহজেই ভগ্নাবশেষসকলের বামদিকের রাস্তার নিকটে পহুছিতে পারা যায়, আর বামদিগের রাস্তা অবলম্বন । করিলে, ডাকবাঙলার নিকট যাওয়া যায়। সাধারণতঃ সাহেবরা ডাকবাঙলার। দিকের রাস্তায়ই গমন করিয়া থাকেন। আমরা ভগ্নাবশেষ সমূহ দেখিবার জন্য এতদূর ব্যগ্র হইয়াছিলাম যে, তাড়াতাড়ি ঘুরিয়া পাহাড়ের পাদদেশস্থিত বুলািন্দ-দরওয়াজার নিকট আসিয়া উপনীত হইলাম। বৰ্ত্তমান সময়ে বড়লাট লর্ড কার্জনের আদেশে সিক্রির যেরূপ নবী হইয়াছে——আমরা ২০২৫ বৎসর পূর্বে যখন ইহাকে দর্শন করিয়াছিলাম, তখন তাহার কিছুই ছিল না ! সে সময়ে প্রস্তরখণ্ড সমাকীর্ণ পর্বতোপরিস্থিত ভগ্নস্তৃপরাশি ও চতুর্দিকের অরণ্যময় বিজনতা হৃদয়ে এক দারুণ বিভীষিকার সঞ্চার করিয়া দিয়াছিল। বুলন্দ-দরওয়ােজায় প্রবেশ করিলেই দর্শকের নয়ন সমক্ষে এক অপূর্ব নয়নানন্দদায়ক দৃশ্য পতিত হয়। তোরণের সম্মুখে পৰ্বত পদতলে ক্ষুদ্র ফতেপুর সহর কতকগুলি কুঁড়ে ঘরের সমষ্টি লইয়া বিরাজমান, এখান হইতে একটা হিন্দুস্থানী যুবক আমাদের গাইড রূপে সঙ্গ লইল। আকবর শাহ্ যে | ফতেপুর সহরকে সর্বপ্রকারে সৌন্দর্ঘ্যে ও শিল্পকলায় বিভূষিত করিয়াছিলেন, বৰ্ত্তমান সময়ে তাহার এই পরিত্যক্ত অবস্থাও প্রায় শ্মশানের ন্যায় বিজনতা, বস্তুতঃই ঔদাস্যজনক। বুলন্দ-দরওয়াজার তোরণ অতিক্রম করিলেই এক বহুদূর বিস্তৃত প্ৰস্তরমণ্ডিত প্ৰাঙ্গণ দেখিতে । সেলিমচিস্তির দর্গ। ] ۔ --۔ --&۔ sخ ..................................................... ' পাওয়া যায়। তাহার চতুর্দিকে উন্নত সৌধশ্রেণী, মধ্যস্থলের চত্বরের উত্তরাংশে শ্বেত মৰ্ম্মরের বেদীর উপর নাতিবৃহৎ নাতিক্ষুদ্র একটী । দর্গ অবস্থিত, ইহাই সেলিম চিন্তির দর্গা নামে প্ৰসিদ্ধ। এই ক্ষুদ্র SS