পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छांद्रड्-ड्भ१ নয়নদ্বয় নিমীলিত হইল, নিদ্রার কোমল অঙ্কে সমুদয় গ্লানি ও অবসাদ ত্যাগ করিয়া যখন গাত্ৰোত্থান করিলাম--তখন অপরাহু হইয়াছে। : ভারতবর্ষের মধ্যে কাশী প্ৰধান হিন্দুতীর্থ। প্ৰাচীনকালে এই নগর অত্যন্ত বৃহৎ ছিল, প্ৰত্যেক পৌরাণিক গ্রস্থেই ইহার মাহাত্ম্য বিশেষরূপে লিখিত আছে। সংস্কৃত গ্ৰস্থাদিতে কাশীর অনেক নাম দেখিতে পাওয়া যায়। যথা :-বারাণসী, বরাণসী, বরণসী, তীর্থরাজ্ঞী, তপস্থলী, কাশিকা, কাশী, অবিমুক্ত, আনন্দবন, আনন্দকানন, অপুনর্ভবভূমি, রুদ্রাবাস, মহাশ্মশান ও স্বৰ্গপুরী। এ সকল নামের মধ্যে কাশী, অবিমুক্ত এবং বারাণসীই সর্বাপেক্ষা প্ৰাচীন। ‘মৎস্য-পুরাণে কাশীর সীমা এইরূপ লিখিত আছে যে :--- “দ্বিযোজনন্তু তৎ ক্ষেত্ৰং পূর্ব-পশ্চিমতঃ স্মৃতম। অৰ্দ্ধ যোজনাবিস্তীৰ্ণং তৎ ক্ষেত্ৰং দক্ষিণোত্তরম ৷ বরণ হি নদী যাবদ যাবচছুক্ষনদী তু বৈ। ভীষ্মচণ্ডিকমারভা পৰ্ব্বতেশ্বরমন্তিকে ৷” অর্থাৎ “পূর্ব পশ্চিমে দুই যোজন এবং উত্তর দক্ষিণে অদ্ধ যোজন পৰ্য্যন্ত ইহা বিস্তৃত। এই পুণ্যতীর্থ বরণা নদী হইতে শুষ্ক নদী পৰ্য্যন্ত এবং ভীষ্ম চণ্ডক হইতে আরম্ভ করিয়া পর্বতেশ্বরের নিকট পৰ্য্যন্ত অবস্থিত ।” কাশীধামের পূর্ব ও পশ্চিম প্ৰান্ত দিয়া বরণ অসী নামক দুইটি ক্ষুদ্রকায়া স্রোতস্বিনী বারাণসী কহে । কাশীর প্রাচীনত্ব সম্বন্ধে যে কেবল পুরাণেই লিপিবদ্ধ রহিয়াছে তাহা নহে, পুরাণের কথা যাহারা বিশ্বাস করিতে অনিচক্ষুক তঁাহারা জাবলোপনিষদে লিখিত কাশী-সম্পর্কিত বিবরণ পাঠ করিলে সন্দেহ ভঞ্জন করিতে পারিবেন। সুপ্ৰসিদ্ধ চৈনিক পরিব্রাজক ফা-হিয়ানের ভ্রমণবৃত্তান্ত পাঠে জানিতে পারা যায় যে, খৃষ্টীয় পঞ্চম শতাব্দীতে কাশীরাজ্য প্রায় ৩৩৩ ক্রোশ ( ৪০০০ লি.) ও ইহার প্রধান নগরী বারাণসী দেড় ক্রোশ ( ১৮১৯ লি) দীর্ঘ এবং অৰ্দ্ধ * ক্রোশ (৫।৬। লি) বিস্তৃত ছিল। । হিন্দুধৰ্ম্মাবলম্বী ব্যক্তির নিকট কাশী অপেক্ষা পুণ্যপ্ৰদ পবিত্র তীর্থ