পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৩৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৰ্ত্তমান সিন্ধিয়া একজন নব্যশিক্ষিত আদর্শ হিন্দু নরপতি। এইরূপ । সৰ্বকৰ্ম্মদক্ষ কৰ্ম্মপ্ৰিয় উৎসাহী নরপতি আতি অল্পই দেখিতে পাওয়া । যায়। ঐশ্বৰ্য্য-সম্পদে ও পরাক্রমে ইনি ভারতের শ্ৰেষ্ঠতম দেশীয় নৃপতি । মণ্ডলীর মধ্যে অন্যতম হইলেও—এই অল্প বয়স্ক রাজা নিজেই নানারূপ কাৰ্য্যাদি করিয়া থাকেন। প্ৰজার হিতসাধনে ইহার চেষ্টা ও যত্ন অসাধারণ, ইনি নিজ রাজ্যের কল্যাণার্থ যে সমুদয় লোক-হিতকর কাৰ্য্য করিয়াছেন । তন্মধ্যে একটী শত মাইলব্যাপী লাইট রেলওয়ে ও প্রথম শ্রেণীর কলেজের - কথা বিশেষরূপে উল্লেখ যোগ্য। গোয়ালিয়র রাজ্যের আয় প্রায় দুই । কোটী টাকা। এই রাজ্য ৩৩১১৯ বর্গ মাইল বিস্তৃত এবং ইহাতে প্ৰায় । ১০৪৩৬টী সমৃদ্ধ পল্লী ও নগর আছে। . . . আমরা ধৰ্ম্মশালা বা মুসাফিরখানায় অবস্থান করতঃ আহারাদি সমা- ৷ পন্যান্তে একটু বিশ্রামের পর নগর দেখিতে বহির্গত হইলাম। এই নগরে দেখিবার অনেক জিনিষ আছে, হিন্দু ও জৈন শিল্প কাৰ্য্যের জন্য ইহার | নিপুণতার খ্যাতি অনেক দিন হইতেই প্রচলিত আছে। প্রথম দুর্গ দেখিবার জন্য একারোহণে অগ্রসর হইলাম, দুৰ্গ দর্শন করিতে হইলে রেসিডেন্সি আফিস বা মহারাজার মুসাফির খানার অধ্যাক্ষের নিকট হইতে পাশ লাইতে হয়। গোয়ালিয়রের একাগুলিকে পশ্চিমের অন্যান্য স্থানের একা হইতে একটু আরামপ্রদ ও উন্নত প্ৰণালীতে নিৰ্ম্মিত । দেখিলাম। এখানকার একাগুলির উপরে বসিবার ছাদ আছে এবং ভিতরকার বসিবার আসন গুলিও দিব্য আরামপ্ৰদ । । যখন এক আসিয়া দুৰ্গমূলে দাড়াইল, তখন পাষাণময় পাহাড়ের উপর। নির্বচনীয় বিস্ময়ের ভাব উদয় হইল। কি বিরাট দেহ, কি দুৰ্ভেদ্য গঠন, আর পর্বতই বা কেমন সরল, অনেক পাহাড় দেখিয়াছি, কিন্তু গোয়ালিয়ার দুর্গ। এইরূপ সরল ও উন্নত ভূধর আর দেখিয়াছি বলিয়া মনে হয় না, ইহার গাত্র একটু ও ঢালু নহে। চতুর্দিকে প্রায় ৩৫ ফুট উচ্চ প্রাচীর, প্রাচীরের