পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৩৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- डांब्रड-वम। অর্থের সাহায্যে ইহারা খুন, সিনসিনিবার ও ভরতপুরের দুর্গ নিৰ্ম্মাণ চূড়ামনের ভ্রাতা বদনসিংহ জাঠদলকে উত্তেজিত করিয়া তাহাদের সাহায্যে ঠাকুর’ উপাধি গ্ৰহণ পূর্বক দিগনগর নামক স্বতন্ত্র স্থানে রাজ্যপট স্থাপন করেন। ১৭২০ খ্ৰীষ্টাব্দে সম্রাট মহম্মদ শাহ ও কুতব-উল-মুল্ক সৈয়দ আবদুল খাঁর সহিত যুদ্ধে চূড়ামন পরাজিত ও নিহত হইলে তাহার পুত্ৰ বদনসিংহ ভরতপুর রাজ-সিংহাসনে সমাসীন হন। এই বদনসিংহের পুত্ৰ সূৰ্য্যমল্লের রাজত্ব সময়ে ভরতপুর বীরত্ব প্রভাবে ভারতের ইতিহাসে অতি উচ্চ স্থান অধিকার করিয়াছিল। জয়পুর রাজের সহায়তায় সূৰ্য্যমল্ল। দিগরাজ্য অধিকার করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন । উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে সূৰ্য্যমল্লের পৌত্র রণজিত সিংহের সহিত ইংরেজ রাজের যে রণাভিনয় হইয়াছিল তাহা ইতিহাসে বিশেষ প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছে। এই যুদ্ধে জাঠ বীরগণ যেরূপ বীরত্ব প্রদর্শন করিয়াছিলেন তদ্রুপ বীরত্ব বৰ্ত্তমানযুগে আর কোথাও কেহ দেখাইতে পারেন নাই। / রাজা রণজিত সিংহের সহিত ইংরেজ রাজ সন্ধিসূত্রে আবদ্ধ ছিলেন, কারণ যখন ইংরেজ রাজ সিন্দে রাজের বিরুদ্ধে অভিযান প্রেরণ করেন, তখন রাজা রণজিত নিজ অশ্বারোহী সৈন্ত দ্বারা সেনাপতি লর্ড লেকের বিশেষ সহায়তা করিয়াছিলেন। ইংরেজরাজও ভরতপুরের নৃপতির এইরূপ মহানুভবতা দর্শনে তাঁহাকে মিত্রতার বিনিময় স্বরূপ সাত লক্ষ টাকা রাজস্বের পাঁচখানি জেলা এক সন্ধি পত্রে স্বাক্ষর করিয়া অৰ্পণ করেন। কিন্তু যখন হােলকারের সহিত যুদ্ধ বাধে, তখন ভরতপুরের রাজা ইংরেজের সহিত মিত্ৰতা,ভুলিয়া যাইয়া হোলকারের সেনাদল যখন রণে ছত্ৰভঙ্গ দিয়া পলায়ন করে, সে সময় দিগের দুর্গ হইতে ইংরেজ সেনাগণের উপরে গোলা বর্ষণ করেন, ইহাতে লর্ড লেক অত্যন্ত বিরক্ত হইয়া দিগ অধিকার পূর্বক ভরতপুর আসিয়া উক্ত নগর চারিবার বিষম বিক্রমের সহিত আক্রমণ করেন, কিন্তু বারবার চারিবারই পরাভূত হ’ন, কিছুতেই ইংরেজ সৈন্য নগর প্রাচীর ভেদ করিতে সমর্থ হ’ন নাই। এই যুদ্ধে ইংরেজ সেনাপতি পলায়ন করিতে পৰ্যন্ত বাধ্য হইয়াছিলেন। ૨૭ર . ath