পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৩৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এদিকে রাজা রণজিত জয় লাভ করিয়াও শান্তিৰােধ করিলেন না—তিনি । শান্তির জন্য প্রস্তুত হইলেন, পরে ইংরেজরাজের সহিত ভরতপুর রাজের - সন্ধি সংস্থাপিত হইল, রাজা রণজিত যুদ্ধের ক্ষতি পূরণ স্বরূপ ইংরেজ । রাজের হস্তে দুর্গ সমর্পণ করিলেন। ১৮০৫ খ্ৰীষ্টাব্দে রণজিতের মৃত্যু: | হইলে তদীয় জ্যেষ্ঠ পুত্র রণধীর ১৮ বৎসর এবং তৎপরে মধ্যম বলদেব । সিংহ ১৮ মাস। বলদেবের দেহাবসানের পরে তাহার পুত্র বলবন্ত সিংহ ৮ সিংহাসনারোহণ করেন, কিন্তু রণজিতের পুত্ৰ দুৰ্জনশীল অন্যায় করিয়া । ১৮২৬ খ্ৰীষ্টাব্দে ভরতপুর দুর্গ অধিকার করিয়া বলবন্তকে কারারুদ্ধ করেন। । এই অন্যায় ব্যবহারের যথোচিত বিধান করিবার জন্য লর্ড কম্বারমিয়ার (Lord Combermere) if r 18, wffset is ভরতপুরাভিমুখে । ধাবিত হইলেন । কিন্তু তিনিও লর্ড লেকের মত ভরতপুরের দুর্ভেদ্য দুৰ্গ গোলা বর্ষণে ভেদ করিয়া জয়লাভ করা অসম্ভব বােধে দুর্গ-প্রাকারের তলদেশে সুড়ঙ্গ কাটাইয়া ১৮ই জানুয়ারী সেই রন্ধ-পথে ইংরেজ সৈন্য । প্ৰবেশ করাইয়া দুৰ্গাধিকার করতঃ দুৰ্জনশালকে বন্দী করেন। ২৩শে । ডিসেম্বর হইতে ১৭ই জানুয়ারী পৰ্যন্ত ঐ খাত প্ৰস্তুত হইতে সময় লাগিয়াছিল। এই যুদ্ধই ভারতের ইতিহাসে দ্বিতীয় ভরতপুরের যুদ্ধ ইংরাজরাজ বালক বলবন্তকে সিংহাসনে সমাসীন করিয়া ভঁাহার মাতাকে রাজকাৰ্য্যের পরিদর্শক রূপে নিযুক্ত করিয়া প্ৰস্থান করেন। ১৮৩৫ খৃষ্টাব্দে । বলবন্ত নিজ হস্তে শাসন ভার গ্রহণ করেন, ১৮৫৩ খৃষ্টাব্দে তাহার : মৃত্যু হয়। বলবন্তের দেহাবসানের পরে তদীয় একবর্ষ বয়স্ক শিশু পুত্ৰ যশোবন্তসিংহ সিংহাসনারোহণ করেন, তাহার নাবালকাবস্থায় রাজকাৰ্য্য | সমূহ ইংরেজের রাজকীয় কৰ্ম্মচারী ও—সাতজন সামন্ত রাজ গঠিত । এক সভা দ্বারা নির্বাহিত হইত। ১৮৬৯ খ্ৰীঃ অঃ যশোবন্ত উপযুক্ত

প্রাপ্ত হইয়া রাজ্যের শাসনভার নিজহস্তে গ্ৰহণ করেন। ভরতপুর । রাজ ইংরেজ রাজের নিকট হইতে সম্মানসূচক। ১৭টী তোপ প্ৰাপ্ত হন।