পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৩৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ख्त्रि। Fraser) পরিচালিত ইংরেজ সৈন্যগণ প্ৰায় মাসাধিক কাল দুর্গ অবরোধ করিয়া অবশেষে ১৮০৪ খ্ৰীষ্টাব্দের ২৪শে ডিসেম্বর তারিখে এখানকার দুর্গ ও নগর অধিকার করিতে সমর্থ হন। এখন আর ডিগের দুর্গের সেই পূৰ্বগৌরব বৈভব কিছুই নাই। । / দুর্গ দেখিয়া আমরা রাজ-প্ৰাসাদ দেখিতে গমন করিলাম। রাজপ্রাসাদটির নাম বনবন, ইহা সৌন্দৰ্য্যে ও শিল্প-নৈপুণ্যের জন্য বিশেষ বিখ্যাত। রাজা সূৰ্য্যমল্ল কর্তৃক এই রাজপ্রাসাদগুলি নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। ভরতপুর রাজ্যের বালুকা প্ৰস্তর দ্বারা ইহা নিৰ্ম্মিত। একটী সুন্দর বাগানের মধ্যে রাজপ্ৰাসাদটি অবস্থিত—বাগানটি দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে ৪৭৫ × × ৩৫০ ফিট । রাজা সূৰ্য্যমল্ল ১৭২৫ খ্ৰীষ্টাব্দে ইহার কাৰ্য্য আরম্ভ করেন কিন্তু ১৭৬৩ খ্ৰীষ্টাব্দে নাজাফ খাঁর সহিত যুদ্ধে নিহত হওয়ায় আরব্ধ। কাৰ্য্যের পূর্ণাঙ্গ সমাপ্ত করিতে পারেন নাই। বহু ভিন্ন ভিন্ন প্রাসাদাবলীতে এই সুবিশাল রাজপ্ৰাসাদ নিৰ্ম্মিত। উত্তরদিকে দরবার মহলটি অবস্থিত, ইহ ৭৬ ফিট ৮ ইঞ্চি x ৫৪ ফিট ৭ ইঞ্চি । এখানকার শ্বেত মৰ্ম্মর প্রস্তরনিৰ্ম্মিত হলটি বড়ই সুন্দর। গোপাল ভবন নামক রাজার বাস অট্টালিকাটিই সর্বাপেক্ষা মনোহর। ফাগুসন সাহেব রাজপুতানার অন্যান্য রাজন্যবৃন্দের প্রাসাদাবলীর সহিত তুলনা করিয়া বলিয়াছেন যে “It wants, it is true, the massive character of the fortified palaces of other Rajput States, but for grandeur of conception and beauty of detail it surpasses them all". (Ferguson's Eastern and Indian Architecture, p. 482). ডিগের রাজপ্ৰাসাদটা প্ৰকৃত পক্ষেই অতুলনীয়। সৌন্দৰ্য্য, স্থপতি নৈপুণ্যে কল্পনা বিচিত্ৰতায় ইহা অসাধারণ । মুসলমান স্থাপত্যানুকরণে ইহা নিৰ্ম্মিত হইলেও একেবারে তাহার অনুকরণ বলা:যায় না, কারণ ইহার অধিকাংশ অংশই স্বাধীন চিন্তা ও শিল্পীর অগাধ অধ্যবসায়ের ফল। ডিগ ছোট সহর, অধিকাংশ বাড়ী ঘরই প্ৰস্তর নিৰ্ম্মিত, রাস্তাগুলি অধিক প্ৰশস্ত না হইলেও খুব সংকীর্ণ নহে। চারিদিকে জলাভূমি, বর্ষার প্লাবনের সঙ্গে সঙ্গে জল অত্যন্ত বুদ্ধি পায় । সহরে ধৰ্ম্মশালা আছে। এখানকার ২৬৭