পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মথুরা নগরে এক ভয়ানক ভূমিকম্প হয়, তাহাতে এই নগরের বহু প্ৰাচীন | কীৰ্ত্তি ধ্বংস হইয়া গিয়াছে। বৰ্ত্তমান সময়ে অট্টালিকা-সমুহের মধ্যে - যমুনাবাগের ছত্রি, যাদুঘর, মথুরার তোরণ-দ্বার, গির্জা, হোলি-দরজা, তেণ্ডাখেরায় রাধাকৃষ্ণের মন্দির, সাতঘরার বিজয়-গোবিন্দ মন্দির, কংসখেরার বলদেব মন্দির, লোহারের ভৈরবনাথের মন্দির, স্বামী ঘাটের মদনমোহন মন্দির, শেঠকুশালের গোবৰ্দ্ধন নাথ মন্দির, স্বামীঘাটের বিহারীজীর মন্দির, নিকাচির গোবিন্দদেবের মন্দির, বলদেব মন্দির, সাতঘরার মোহনজী মন্দির, অসিকুণ্ডের মদনমোহন মন্দির, কংসখাড়ের গোবৰ্দ্ধননাথ মন্দির, দীর্ঘ বিষ্ণু মন্দির, জামে মসজিদ, লছমিৰ্চাদের বাস । ভবন প্রভৃতি অবশ্য দর্শনীয় এবং বিশেষরূপে উল্লেখ যোগ্য। আমরা প্ৰথমে কংসালয়ের ভগ্নাবশেষ দেখিতে গমন করিলাম, আমাদের পাণ্ডা ঠাকুর যে সমুদয় ভগ্নস্তৃপ ইত্যাদি কংসালয় বলিয়া ব্যাখ্যা করিলেন, উহা আমাদের নিকট বৌদ্ধ মঠ ইত্যাদির ভগ্ন স্তুপ ব্যতীত আর কিছুই মনে হইল না। সরল বিশ্বাসী হিন্দু নরনারীগণ উহা নিজ নিজ ধৰ্ম্মান্ধতার সহিত কংসালয় বলিয়া মানিয়া লইলেও শিক্ষিত পৰ্যটকগণ তাহা কখনও মানিয়া লইতে পরিবেন না। নানা রাজ-পরিবর্তন ও বিধৰ্ম্মীর অভু্যদয়ে। বিবিধ বিপ্লবের মধ্য দিয়া বৌদ্ধযুগেরও বহু প্ৰাচীন সেই পৌরাণিক কালের কীৰ্ত্তি-চিহ্নগুলি যে এখনও বিদ্যমান আছে, ইহা আমাদের বিশ্বাস করিবার প্ৰবৃত্তি হইল না । যে স্থানটিকে আমরা কৃষ্ণের জন্মভূমি বলিয়া দর্শন করিলাম, উহা যে একটী প্ৰাচীন-বৌদ্ধ-মঠের ধ্বংসাবশেষ হইবে।” ইহা নিঃসন্দেহে বলা যাইতে পারে। তবে প্রাচীন মহাভারতীয় যুগের কোনও চিহ্নই যে এই সুপ্ৰাচীন নগরে বিরাজিত নাই, একথা বলিতে গেলেও সত্যের অপলাপ করা হয়। নানা ধৰ্ম্ম-পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে-মন্দিরাদির বহুল পরিমাণে পরিবর্তন হইলেও প্রাচীন স্মৃতি চিহ্নটুকু একেবারে মুছিয়া । যায় নাই। কে বলিতে পারে, প্রাচীন হিন্দু মন্দিরগুলিই পরিবৰ্ত্তিত হইয়া বৌদ্ধ স্তুপমঠাদিতে পরিণত হয় নাই। কংসালয় দর্শন করিয়া আমরা ; DBDBD DBD DDB DBDBD DBBBDB DBDBD D BDBD BiiBiB ভগ্নাবশেষ সমূহ নিরীক্ষণ করিলাম। এই ভুতেশ্বর মন্দিরের বিশেষত্ব এই,