পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মথুরা। দেখিতে গমন করিলাম। বহু আড়ম্বরের সহিত এখানকার আরতি সম্পাদিত হইয়া থাকে। মথুরা-নগরবাসী নরনারীগণ প্ৰায় প্রত্যহই এ স্থানে দেবদর্শনার্থ সমাগত হইয়া থাকেন। দ্বারকানাথের মন্দিরটি দেখিতে বেশ সুন্দর, বিশেষতঃ ইহার সম্মুখস্থ নাট মন্দিরটি বড়ই মনোহর। সন্ধ্যার অন্ধকারের সহিত পুষ্পাদি। হস্তে ভুবনমোহিনী মথুরাবাসিনী রমণীগণ যখন একে একে মন্দিরে আগমন করিতে আরম্ভ করিলেন, তখন তঁহাদের উজ্জ্বল রূপ-প্ৰভায় আমাদের চক্ষে মন্দিরের উজ্জ্বল আলোকাবলীও নিম্প্রভ বোধ হইতেছিল ! একদিন যে নবীন জলধর শ্যামসুন্দর এই নগরের একটী কুজা রমণীকে দেখিয়াও কেন মুগ্ধ হইয়াছিলেন আজ কত যুগ-যুগান্তর পরে এই নগর-বাসিনী সুন্দরীগণের অপূর্ব সৌন্দৰ্য্য দেখিয়া তাহা অনুভব করিতে পারিলাম ! সৌন্দৰ্য্য-মুগ্ধ বঙ্কিম যথার্থই গাহিয়াছেন “মথুরাবাসিনী মধুরহাসিনী শ্যাম বিলাসিনী রে।” আরতির মধুর বাদ্যধ্বনির সঙ্গে সঙ্গে চারিদিকে একটা ভক্তির অতুল্য আনন্দকোলাহল নৃত্য করিতেছিল, আমরা ভক্তিপূর্ণ হৃদয়ে ऊळुत्रून्गतः । সেই আনন্দ উৎসব অবলোকন করিলাম ও একে একে মন্দির মধ্যস্থিত দ্বারকানাথ, মথুরানাথ, ব্ৰজনাথ, যমুনামাই ও বারান্দায় নিত্যানন্দ প্ৰভু প্রভৃতির মূৰ্ত্তি দর্শন করিয়া কৃত কৃতাৰ্থ হইলাম। এই মন্দিরের বহির্ভাগেই শেঠদিগের বহুদূর বিস্তৃত একটী মনােরম আটালিকা। এই অট্টালিকাটিও উল্লেখ যোগ্য বটে। ইহাদের যমুনাবাগ নামক একটীি মনোরম প্রমোদ-কাননও আছে, উহা সহরের এক প্রান্তে যমুনার কুলে অবস্থিত । মথুরায় যমুনার উত্তর সীমায় একটা প্রাচীন দুর্গের ধ্বংসাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায়, সাধারণে উহাকে “কংসকা কিল্লা” নামে অভিহিত করিয়া থাকে । কিন্তু ইহার সম্বন্ধে জন-প্ৰবাদ এইরূপ যে সম্রাট আকবর শাহের বিখ্যাত সেনানী জয়পুর-রাজ মানসিংহ ইহা নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন, কালবশে উহাই ধ্বংসে পরিণত হইয়া ঈদৃশ অবস্থায় পরিণত হইয়াছে। ১৭২১ খ্ৰীষ্টাব্দে মানসিংহের বংশধর অম্বরেশ্বর সবাই জয়সিংহ যখন সম্রাট মহম্মদ শাহ কর্তৃক এ প্রদেশের শাসনকৰ্ত্তা নিযুক্ত হন, তখন তিনি এ স্থানে Rbrod مO