পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ख्ब्रड-ख्यभs । মধুর কল্পনালোকে হৃদয় মধ্যে ক্রীড়া করিয়া গেল। ষ্টেসনে পহুছিব।। মাত্ৰই পাণ্ডা ঠাকুরেরা আসিয়া উপস্থিত হইলেন এবং খাতা খুলিয়া তাহদের মধ্যে আমাদের প্রতি কাহার দাবী তাহ প্ৰমাণ করিয়া লইলেন । শাস্ত্রালোচনা অপেক্ষা ও এ সকল খাতার নাম ধামগুলি ব্ৰজবাসিগণের নিকট অধিকতর সুপরিচিত। আমাদের নির্দিষ্ট পাণ্ডা ঠাকুরকে সহ ময়মনসিংহ গোলকপুরের অন্যতম প্ৰসিদ্ধ দানশীল জমিদার কুমার উপেন্দ্ৰচন্দ্ৰ চৌধুরীর পিতা শস্তৃচন্দ্ৰ চৌধুরীর কুঞ্জ ঠিক করিয়া বস্ত্ৰাদি পরিবর্তন করিয়া কিয়ৎকাল বিশ্রামান্তর দেব দর্শন ও নগর দেখিবার জন্য বহির্গত হইলাম। বৃন্দাবন শ্ৰীকৃষ্ণের লীলা ক্ষেত্র, যত কিছু তাহার লীলা খেলা তাহা এখানে হইয়াছিল বলিয়া ইহা বৈষ্ণবগণের নিকট বিশেষরূপে আদরণীয় তীর্থ। বৃন্দাবনের একটি বিশেষত্ব এই যে এখানকার বাসাবাড়ী মাত্ৰই “কুঞ্জ” বলিয়া অভিহিত । কুঞ্জ অর্থে শ্যামল-বল্লরী শোভিত কোনও বিহার-কানন বলিয়া যাহা আমাদের বিশ্বাস, তাহা নহে। বৃন্দাবনের চতুৰ্দ্দিকে চৌরাশী ক্রোশ পরিধির মধ্যে মথুরা, গোকুল, মহাবিন, ডিগ, গোবদ্ধন, রাধাকুণ্ড, শ্যামকুণ্ড, পুষ্করিণী, নন্দগাঁও, বর্ষান ও সাঙ্কেতিক পুষ্করিণী ব্ৰজপুরীর অন্তৰ্গত । আমরা যখন রাস্তায় বহির্গত হইলাম, তখন বেলা প্ৰায় এক প্ৰহর হইবে, নিৰ্ম্মল নীলাকাশে সূৰ্য্যদেব খরতর কিরণ বিকীরণ করিতেছেন। পথে এত অধিক বাঙ্গালী দেখিতে পাইলাম যে সময়ে সময়ে মনে হইতেছিল যে আমরা বুঝি মায়াবলে পুনরায় মুহূৰ্ত্ত মধ্যে বাঙলা দেশে আসিয়া পড়িয়াছি। পশ্চিমের এই সুদূর প্রান্তে স্বদেশীয় নর নারীর আধিক্যে মনে বড়ই আনন্দ জন্মিয়াছিল। বাঙ্গালীর সংখ্যা অধিক বলিয়া এবং সর্বদা তাহদের সহিত মিলামিশা করিতে করিতে বড়ই আনন্দ অনুভব করিলাম। স্থানীয় নরনারীগণ ও তাঁহাদের স্বরচিত একপ্রকার অদ্ভুত বঙ্গভাষা ব্যবহার করিয়া থাকে। বৃন্দাবন তেমন বৃহৎ নগরী নহে, তবে ইহা সমৃদ্ধিশালী বটে। এখানকার দেব-মন্দির সমুহের মধ্যে গোবিন্দদেবের মন্দির, গোপীনাথের মন্দির, মদনমোহনের মন্দির, গোপেশ্বর মহাদেব ও রবখণ্ডি মহাদেব। এই পাঁচটাই বিশেষ প্ৰসিদ্ধ ও প্রাচীন, আধুনিক মন্দির সমুহের সংখ্যা অসংখ্য। হিন্দু ধৰ্ম্মদ্বেষ ঔরংজেব গোবিন্দদেবের মন্দিরের રીઝ’8