পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিন্তু কোন মুসলমানই সেই তোরণ-দ্বার দিয়া মসজিদে প্ৰবেশ করিতে পারে না ;—ইংরেজ গবৰ্ণমেণ্ট এখন এই মসজিদের ট্রষ্টি নিয়ােজিত আছেন। এই মসজিদের নিকটে আদিবিশ্বেশ্বরের প্রায় ৪০ হস্ত উচ্চ মন্দির দৃষ্টিপথে পতিত হয় ; উহার সন্নিকটেই “কাশী-কর্বট' নামক একটী পবিত্ৰ কৃপ দেখিতে পাওয়া যায়। সর্বসাধারণের মধ্যে এইরূপ একটী বিশ্বাস প্রচলিত আছে যে, ডুব দিয়া এই কর্বট উত্তীর্ণ হইতে পারিলে আর পুনর্বার জন্মগ্রহণ করিতে হয় না, এই অন্ধ-বিশ্বাসের গতিকে দুই একজন ডুব দিয়া মরার পর, গবৰ্ণমেণ্ট এই কৃপের মুখ বন্ধ করিয়া দেন, পরে পাণ্ডীগণের বহু আবেদনে প্রতি সোমবার কেবল একবার করিয়া ইহার মুখ খুলিয়া দেওয়া হয়। : আমরা বিশ্বেশ্বরের মন্দির ও তন্নিকটবৰ্ত্তী অন্যান্য দেবালয়াদি দর্শন করিয়া কালভৈরবের মন্দিরের দিকে অগ্রসর হইলাম। উহা বিশ্বেশ্বরের মন্দির হইতে কিয়দ রে অবস্থিত। কথিত আছে যে, ব্ৰহ্মার গৌরব হ্রাস করিবার নিমিত্ত মহাদেব নিজ কোপ হইতে এক ভৈরব পুরুষের সৃষ্টি করেন, তিনিই কালভৈরব। কালভৈরব বা ভৈরবনাথের মূৰ্ত্তি প্রস্তরে গঠিত ঘোর নীলবৰ্ণ, ইহার চক্ষু দুইটী রজত । নিৰ্ম্মিত, তিনি স্বর্ণ-সিংহাসনে অধিষ্ঠিত আছেন, পার্শ্বে তাহার সারমেয়ের বিকট মূৰ্ত্তি। কালভৈরব কাশীর প্রহরীরূপে বিরাজিত আছেন। ভৈরবনাথের মন্দিরট নানাবর্ণে সমলঙ্কত এবং দর্শনোপযোগী। প্রবেশ করিবার দ্বারের বামপাশে দশাবতারের মূৰ্ত্তি অতিশয় সুন্দর রূপে চিত্রিত আছে। কালভৈরবের বর্তমান মন্দির পুনার বাজিরাও নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিয়াছেন। মন্দিরের বাহিরে কালভৈরবের প্রাচীন মূৰ্ত্তি দেখিতে পাওয়া যায়। অগ্রহায়ণ মাসের কৃষ্ণাষ্টমীতে উপবাস করিয়া যে ব্যক্তি সারারাত্ৰি কালভৈরবের নিকট জাগরিত থাকে, তাহার সর্বপ্রকার পাপ দূরীভূত হয়। इडेंद्र পূজা করিয়া যিনি যে কামনা করিয়া থাকেন তাহাই সিদ্ধ হয়। কাশীতে যে - চারিটী শীতলা দেবীর মন্দির আছে, তন্মধ্যে এখানে একটী দেখি कलिलद्भव ।