পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রূপে অধ্যয়ন করিলে সহজেই বুঝিতে পারা যায় যে একদিন স্থাপত্য শিল্পনৈপুণ্যে ইহা কত দূর গরীয়ান ছিল। গোবিন্দজী ও গোপীনাথজীর ন্যায়। ইহারও প্রতিনিধি মূৰ্ত্তি নূতন বাটীতে আশ্রয় গ্ৰহণ করিয়াছেন। বৰ্ত্তমান মদনমােহনের মন্দির ১৮২১ খৃষ্টাব্দে নন্দকুমার বসু নামক বড়নিবাসী জনৈক বাঙ্গালী কায়স্থ নিৰ্ম্মাণ করাইয়া দিয়াছিলেন। মদনমোহনের বাটীর অনতিদূরেই শ্ৰীশ্ৰীচৈতন্যদেবের সমাধিমন্দির ও তঁহার প্রধান শিস্য সনাতন গোস্বামীর আশ্রম। ইহার কিছুদূরেই কালিয়দহ ঘাট ও গোপাল ঘাট দর্শন করিলাম। ঘাটগুলি পাষাণনিৰ্ম্মিত, কিন্তু নদী ইহাদের নিকট হইতে বহুদূরে সরিয়া গিয়াছে, কাজেই প্রাচীনকালের সেই লোচনানন্দদায়ক নীল যমুনালহরীর নীল সৌন্দৰ্য্য দেদীপ্যমান নাই। কথিত আছে যে শ্ৰীকৃষ্ণ এই “কালিয়ন্দহেই’ কালিয় নামক সর্পরাজকে দমন করিয়াছিলেন। ঘাটের উপরে একটি ছোট মন্দির আছে, উহার মধ্যে সহস্ৰবদন কালিয় সপরাজের মাথার উপরে শ্ৰীকৃষ্ণের মূৰ্ত্তি স্থাপিত। এই মন্দিরের নিকটে একটা প্ৰাচীন বৃক্ষ বিরাজিত,-পাণ্ডাঠাকুর বলিলেন যে এই বৃক্ষের উপর হইতেই শ্ৰীকৃষ্ণ যমুনাগর্ভে ঝম্পপ্রদান করিয়াছিলেন। গোপালঘাটে নন্দ ও যশোদার বৃহৎ প্ৰতিমূৰ্ত্তি স্থাপিত। কথিত আছে যে শ্ৰীকৃষ্ণদেব কালিয়দমনার্থ যমুনাগর্ভে কঁপাইয়া পড়িলে স্নেহময়ী যশোদাদেবী “হা কৃষ্ণ ! কোথায় কৃষ্ণ” রবে কৃষ্ণের জীবনভয়ে ভীত হইয়া ক্ৰন্দন করিয়াছিলেন বলিয়া ইহার নাম “গোপাল ঘাট” হইয়াছে। কালিয়দহ ঘাট ও গোপাল ঘাট ইত্যাদি দর্শনান্তে নৃসিংহ ঘাট ও কেশী ঘাট ও বস্ত্ৰহরণ। ঘাট দর্শন করিলাম । কেশী ঘাটের উপরে যুগলকিশোর দেবের মন্দির স্থাপিত। এই মন্দিরটি ১৬২১ যুগলকিশোরের খৃষ্টাব্দে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। কাহারও কাহারও মতে ইহা মাির । কচ্ছবাহ ঠাকুর রায় সিংহের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা নোনীকরণ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। এই মন্দিরটা এখন ভগ্ন জীর্ণ ও পরিত্যক্ত এবং কপোত ও চটককুলের অতি প্ৰিয়তম আবাসস্থলে পরিণত হইয়াছে। ইহার গর্ভগৃহ সম্পূর্ণরূপে বিনষ্ট হইয়া গিয়াছে। কিন্তু নাটমণ্ডপের খিলানে এখনও সেকালের বহু স্থাপত্য নৈপুণ্যের পরিচয় পাওয়া যায়। ঐ कालिझनश् युक्ने । r RSO