পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । সকল খিলানের নীচে গোবৰ্দ্ধনলীলার চিত্ৰসমূহ প্ৰকটিত । তৎপরে আমরা গোপীনাথের মন্দির, রাধাবল্লভজীর মন্দির প্রভৃতি প্ৰাচীন মন্দির দুইটী দর্শন করিয়া বেল প্ৰায় এগারটা বারটার সময় বিহারী সাহার সুপ্ৰসিদ্ধ দেবমন্দির দর্শন করিলাম। বৰ্ত্তমানযুগে এমন নয়ন-মন-মুগ্ধকর সুন্দর দেবমন্দির বৃন্দাবনের আর কোথাও বিদ্যমান নাই, এখানে আসিয়া সত্য সত্যই হৃদয়ে অপূর্ব শান্তি ও গ্ৰীতির রসাস্বাদন করিয়া বিমুগ্ধ হইলাম। ঘুরিয়া ফিরিয়া মন্দিরটীির চতুর্দিক নিরীক্ষণ করিলাম---এই দেবমন্দিরটা আগাগোড়া শ্বেতপ্রস্তর মণ্ডিত। সেই সকল সুদৃশ্য প্রস্তর- ; খণ্ডে নানারূপ মনােহর কাৰ্য্য নিৰ্ম্মেতার নিৰ্ম্মল ভক্তিপূর্ণ-হৃদয়েরই যেন স্বচ্ছ প্রতিবিম্ব প্রতিফলিত হইয়া রহিয়াছে । মন্দিরের বারেন্দায় দরোজার সম্মুখে হরিভক্তগণের পদব্রজ প্রত্যাশায় বিহারী সাহার একটী প্ৰতিমূৰ্ত্তি চিত্রিত রহিয়াছে, ইহা বিনয়ের অন্যতম নিদর্শনও বটে। এই পুণ্যময় দেহচ্ছবির উপরে অনেককেই কিন্তু পদচালনা করিতে বিরত দেখিলাম । বারানদার প্রস্তরস্তম্ভগুলি সাজসজ্জাহীন ও বঁকা বঁকা (স্কুর মত) কিন্তু উহার স্বচ্ছ নিৰ্ম্মল সৌন্দৰ্য্য প্রকৃত সৌন্দৰ্য্যামুরাগী ব্যক্তির মনের সৌন্দৰ্য্য তৃপ্তি সাধনের সহায়তা করিয়া থাকে। এই অট্টালিকার সম্মুখভাগে একটা সুসজ্জিত ক্ষুদ্র বাগান, বাগান মধ্যে নানারূপ প্ৰস্তর খোদিত প্ৰতিমূৰ্ত্তি সমূহ বিরাজমান থাকিয়া ইহার সৌন্দৰ্য্য আরও বৃদ্ধি করিয়া দিতেছে। বিহারী সাহার এই মন্দির দর্শনান্তে বাসায় ফিরিতে বেলা প্ৰায় ১॥টা হইয়া গিয়াছিল । আহারাদির পর বিশ্রামান্তে পুনরায় নগর প্রদক্ষিণে বাহির হইলাম । এবার প্রথমেই লালাবাবুর ব্ৰহ্মচারী এবং টিকারীর মহারাণীর সুন্দর দেব মন্দির দর্শন করিলাম। বৃন্দাবনে লালাবাবুর কীৰ্ত্তি সর্বত্রই বিরাজিত। তাহার সদাব্রতে প্রত্যহ যে কত দীন দরিদ্র অন্ন পাইয়া হৃদয়ােচ্ছাসে তাহার পরলোকগত আত্মার মঙ্গল প্রার্থনা করিতেছে। তাহা বৰ্ণনা করা অসম্ভব। লালাবাবুর সদাব্রতে কোনও রূপ কঠোর ব্যবহার নাই-এবং হইতে পারে না । সদাব্রতের কাৰ্য্য সুচারুরূপে নির্বাহাৰ্থ এখানে কয়েকজন ভদ্রলোক ব্ৰাহ্মণ কৰ্ম্মচারী উচ্চ বেতনে নিযুক্ত আছেন। ইহাদের সুনিয়মে এই RS8