পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । সোম, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র, শনি, রাহু ও কেতু এই নবগ্রহের রীতিমত পূজা হইয়া থাকে। নবগ্রহের মন্দিরের পার্শেই দ গুপাণির মন্দির। “কাশীখণ্ডে’ লিখিত আছে যে “হারিকেশ নামক জনৈক যক্ষ তপস্যা দ্বারা মহাদেবের অনুকম্পা লাভ করে। মহাদেব তাহাকে, বর দেন যে তুমি আমার অত্যন্ত প্রিয়তম ভক্ত, তুমি কাশীধামের দুষ্টগণের শাসক ও শিষ্টের পালক হইয়া দণ্ডপাণি নামে অবস্থিতি কর, কাশীধামে তোমার পূজা না করিলে কাহারও সুখলাভ হইবে না।” দণ্ডপাণির মূৰ্ত্তি প্ৰস্তর নিৰ্ম্মিত, উহা উচ্চে প্ৰায় তিন হস্ত হইবে, যাত্ৰিগণ প্ৰতি রবি ও মঙ্গলবারে ইহঁর পূজা করিয়া থাকে। কালভৈরবের মন্দিরের নিকটে কালকৃপ অবস্থিত। যিনি এই তীর্থে ভক্তিসহকারে *** * অবগাহন করেন, তাহার পিতৃলোকের তৎক্ষণাৎ উদ্ধার হয়। এই কৃপটী এমনি সুকৌশলে নিৰ্ম্মিত যে ঠিক দিবা দ্বিপ্রহরের সময় সূৰ্য্যের রশ্মি ইহার সলিল মধ্যে পতিত হয়, বহু লোক অদৃষ্ট পরীক্ষার্থ সে সময়ে এখানে আগমন করে, মধ্যাহ্ন সময়ে যে ব্যক্তি ঐ কৃপা-জলে আপনার প্রতিবিম্ব দেখিতে পায় না, ছয় মাসের মধ্যেই সে নিশ্চয়ই মৃত্যুমুখে পতিত হইবে, সাধারণের মধ্যে এইরূপ একটী বিশ্বাস দৃঢ় রূপে প্রচলিত দেখিলাম । কালকূপের অল্পদূরে “বুদ্ধকালেশ্বরের মন্দির অবস্থিত। দক্ষিণদেশস্থ নন্দিবৰ্দ্ধন গ্রামের বুদ্ধকাল নামক জনৈক রাজা কর্তৃক এই শিবলিঙ্গ স্থাপিত ও ইহার মন্দির নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। এই মহাদেবের অর্চনা করিলে সৰ্ব্ব প্রকার পাপজনিত দরিদ্রতা দূর হয়। বৃদ্ধকালেশ্বরের মন্দিরের প্রাচীনত্ব অনেকেই স্বীকার করেন । কোন কোন পুরাতত্ত্ববিদের মতে কাশীতে এখন যতগুলি শিব-মন্দির আছে, তন্মধ্যে বৃদ্ধকালেশ্বরের মন্দিরই সর্বাপেক্ষা প্ৰাচীন। ‘শিব-পুরাণে’ ও বৃদ্ধিকালেশ্বরের নাম দেখিতে পাওয়া যায়, অতএব ইহার প্রাচীনত্ব সম্বন্ধে সন্দেহ করিবার কোনও কারণ নাই। পূর্বের্ন যে স্থানে বিখ্যাত এবং মোক্ষপ্ৰদ ‘কৃত্তিবাসেশ্বরের মন্দির অবস্থিত ছিল, এখন সে স্থানে আলমগীর মসজিদ অবস্থিত। ১৬৫৯ খ্ৰীষ্টাব্দে কৃত্তিবাসেশ্বরের মন্দির ধ্বংস করিয়া সেই মাল মসলা দ্বারা ঔরঙ্গজেব এই মসজিদ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। এখন এই মসজিদের নিকট

    • if .3

ነ። 4. দণ্ডপাণির মন্দির । বুদ্ধকালেশ্বর ।