পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৃন্দাবন। কাব্যরসের অক্ষয় উৎস শ্যামল যমুনা-পুলিনের অতীত-সৌন্দৰ্য্য কালের ভীষণ প্ৰহারে লোপ পাইয়াছে, তথাপি শ্ৰীকৃষ্ণের চরণচিহ্ন বুকে করিয়া একদিন গৌরবান্বিত হইয়াছিল বলিয়া অদ্যাপি লোকের মুখে-মুখে, কবিতার মধুর ছন্দে, সঙ্গীতের সুমধুর তানে, চির-জাগরুক ও চির-মহিমাময় হইয়া রহিয়াছে। যদিও কিছুই নাই, তথাপি ভক্ত বৈষ্ণবগণ প্রাচীন স্মৃতির মধুময় মোহন-স্পর্শে হৃদয়-মধ্যে সেই পীতবসন মুরলীধারীর প্রিয়ভূমি দর্শনের জন্য উদগ্রীব হইয়া পড়েন এবং এখানে আসিয়া এই ভগ্ন উদ্যান দর্শনে হৃদয়ে শান্তি ও অপূর্ব তৃপ্তি অনুভব করেন। নিকুঞ্জবন-সম্বন্ধে ও নিধুবন-সম্বন্ধে আর | বিশেষ কিছু বলিবার নাই। . ܟ݂- ” নিধুবনে ও নিকুঞ্জবনের বর্তমান শোচনীয় দৃশ্য দেখিয়া আমি নয়নজল সংবরণ করিতে পারি নাই। একদিন না—এ সকল কুঞ্জবনে ব্যাকুলা রাধিক সতী প্ৰিয়তমের পথ চাহিয়া বসিয়া থাকিতেন ! আষাঢ়ের নবনীলনীরদাৰ্বত অন্ধকার-নিশীথে ব্যথিত-হৃদয়ে বলিতেন, di “এ ঘোর রজনী, মেঘ গরজনী । কেমনে আওব পিয়া ! শেজ বিছাইয়া, রহিনু বসিয়া পথপানে নিরাখিয়া ৷ সই কি করব কহ মোরে ।” হায় ! এখনও সান্ধ্য গগন তেমনি নীল মেঘে ছাইয়া ফেলে-তেমনি ঘোরা রজনী আসে, কিন্তু কেহত তেমন করিয়া শেজ বিছাইয়া শ্যাম-দৰ্শন-লালসায় বসিয়া থাকে না ! “এখনও সে মোহন যমুনার কুল, ' ...o ፡- আর সে কেলি-কদম্বের মূল, আর সে বিবিধ ফুটিল ফুল, ー・ আর সে মধুর শারদ-যামিনী! - ভ্ৰমরা ভ্ৰমরী করত। রব, । পিক কুহু কুহু করত রাব, সঙ্গিনী রঙ্গিনী মধুর বোলনি ff t히 하t || Rసిపీ