পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশী। “রত্নেশ্বরের” মন্দির বিরাজিত। এইরূপ একটা প্ৰবাদ প্ৰচলিত আছে যে কয়েক বৎসর পূর্বে এই মন্দিরের ভিত্তি খনন করিবার সময় মৃত্তিক। গর্ভ হইতে বহু ধন, রত্ন পাওয়া গিয়াছিল। “কাশী খণ্ডে” এই শিবের মাহাত্ম্য সম্বন্ধে লিখিত আছে যে, “যে ব্যক্তি রত্নেশ্বর দেবকে প্ৰণাম করিয়া দূরদেশেও প্রাণত্যাগ করে, সে ব্যক্তিও শতকোটি কল্প কাল পৰ্য্যন্ত স্বর্গে বাস করিয়া থাকে।. zer কাশীতে গঙ্গার তীরে যে কত ঘাট আছে তাহার' ইয়ত্ত নাই । যখনি যে ঘাটে যাইবে, তখনি সে স্থান জনাকীর্ণ দেখিতে পাইবে । কোথাও সন্ন্যাসিগণের গগনভেদী হর হর. রব, কোথাও সামবেদের মধুর স্বর-লহরী গগনে মিলাইয়া যাইতেছে, কোথাও সংসারত্যাগী ধ্যানমগ্ন যোগীপুরুষগণ যোগাসনে উপবিষ্ট, আবার কোথাও বা বর্ষীয়সী রমণীগণ পূজা নিরতা। পরমার্থ লাভের জন্য মানুষের ব্যাকুলতার দৃশ্য এখানে যেরূপ দৃষ্ট হয় পৃথিবীর অন্যত্র তাহা কল্পনাতীত। বাস্তবিক কাশীর গঙ্গাবক্ষস্থ দৃশ্য অতুলনীয়। আমরা এখানে প্রধান প্রধান কতকগুলি ঘাটের নামোল্লেখ করিলাম। যথা - অসিঘাট, লালামিশ্রঘাট, রাওসাহেবঘাট, আকরুলঘাট, শিবালয়ঘাট, দণ্ডীঘাট, হনুমানঘাট, মশানঘাট, লালীঘাট, কেদারঘাট, চৌকীঘাট, রাজাঘাট, নারদঘাট, সোমেশ্বরঘাট, পাড়েঘাট, নন্দঘাট, ছত্ৰঘাট, বাঙ্গালীটোলাঘাট, গুরুপান্তঘাট, চৌষট্ৰিঘাট, রাণাঘাট, মুনসীঘাট, অহল্যাবাইঘাট, শীতলাঘাট, দশাশ্বমেধ ঘাট, প্ৰয়াগঘাট, মানমন্দিরঘাট, ঘোড়াঘাট, ভৈরবঘাট, মীরঘাট, ললিতাঘাট, নেপালঘাট, জরাসন্ধাঘাট, কায়স্থঘাট, মণিকর্ণিকাঘাট, সিন্ধিয়াঘাট, ভীমকাঘাট, গণেশঘাট, ঘোসলাঘাট, রামঘাট, পঞ্চগঙ্গাঘাট, দুৰ্গাঘাট, বিন্দুমাধবঘাট, গোঘাট, ত্ৰিলোচনঘাট, মৈত্ৰঘাট, প্ৰহলাদঘাট, রাজঘাট, বরুণাসঙ্গমঘাট, পিশাচমোচনঘাট ও অগ্নীশ্বরঘাট । এ সমুদয় ঘাটের মধ্যে আবার শীতলাঘাট, প্ৰয়াগঘাট, বরুণাঘাট, দশাশ্বমেধ ঘাট, চৌষট্টিযোগিনী, দশাশ্বমেধ ও মণিকর্ণিকা, অগ্নিীশ্বর, অসিসঙ্গম ও কেদারঘাট প্ৰভৃতি প্ৰধান। মণিকণিকা ঘাটের ন্যায় পবিত্রতম তীর্থ কাশীর আর কোথাও নাই। ইহার শ্রেষ্ঠত্ব সম্বন্ধে প্রত্যেক পুরাণেই বিশেষরূপে লিখিত আছে। “সৌরপুরাণে” আছে যে :– রত্নেশ্বর । Σ. Σ