পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ, রা-গোবৰ্দ্ধন । মন্দির আছে। ব্ৰজবাসীরা বাঙ্গালীর নিকটে এই দুইটিকে কানাই-বলাইরী মন্দির বলিয়া পরিচয় দেয়। সূরযমলের সমাধির গুম্বজের ভিতরদিকে সুরমলের দরবারের ছবি অঙ্কিত আছে। টডের রাজস্থানে অশ্বারোহী শটুকার নল-মুখে ধূমপায়ী রাণা ভীমসিংহের ছবি যাহারা দেখিয়াছেন, তাহারাই সূরযমলের এই ধূমপায়ী মূৰ্ত্তি কতকটা অনুমান করিতে পরিবেন। অন্য তিন দিকে আর তিনখানি ছবি আছে, তাহার একখানিতে সূৰ্য্যামল পবিত্র বেশে গৃহ-দেবতা। হরিদেবের পূজা করিতেছেন। আর একখানিতে সূৰ্য্যামল মুগ ও শূকর-শিকারে নিযুক্ত এবং অপরখানিতে স্বীয় ফরাসী-সেনাপতির সহিত যুদ্ধজয়ী যোধুবৃন্দকে পুরস্কার দিতেছেন । এতদ্ভিন্ন নানাস্থানে কৃষ্ণলীলার ছবি অসংখ্য । রণজিত সিংহের সমাধি -সৌধেও ঠিক এইরূপ ছবি আছে। একখানি ছবিতে দেখিলাম। লর্ড লেক ঘোড়া হইতে নামিয়া দাড়াইয়াছেন এবং সেনা পরিচালন করিতেছেন। অতঃপর আমরা জাঠি রাজার সমাধি মন্দির হইতে নিস্ত্রীক্ষান্ত হইলাম এবং গোবৰ্দ্ধন, পর্বতের উপরিস্থ প্ৰধান তীর্থস্থান “মানস-গঙ্গা” দেখিতে চলিলাম । গোবৰ্দ্ধানের সর্বোচ্চ স্থানে এই নাতি বৃহৎ হ্রদ। বর্তমান । হ্রদ গভীর, জল হরিদ্বর্ণ, ফুলে, ফুলের মালায় উপরিভাগ পরিব্যাপ্ত । তীর্থযাত্রীরা এখানে সুসান-তৰ্পণ করিয়া থাকেন । হ্রদের চতুৰ্দিকে পদত এত উচ্চ যে, দুইদিকে কতকটা ইষ্টক প্রাচীর দ্বারা বেষ্টন করিয়া দ্বার বসাইয়া পাণ্ডারা এই তীৰ্থ স্থানটি নিজেদের কবলগত করিয়া রাখিয়াছেন । একদিকে ভরতপুরের রাজ-সমাধির উচ্চ আট্টালিকা অপর দিকে গোবৰ্দ্ধনজীর মন্দির বাহির হইতে কিছুই দেখিবার উপায় নাই । পাণ্ডাঠাকুর ব্যাখ্যা করিয়া দিলেন, বৎসাসুর বধের পর শ্ৰীকৃষ্ণ গোবৰ্দ্ধনকুঞ্জে আসিবামাত্ৰ সখি-পরিবৃত রাধিক তঁহাকে স্পর্শ করিতে সম্মত হইলে না, অপরাধ,- গো-হত্যা করিয়াছ ; গঙ্গাস্নানে পবিত্র হও। শ্ৰীকৃষ্ণের বিলম্ব সহিল না ; হাতের বঁাশী গোবৰ্দ্ধনের শীর্ষ দেশে বলপূর্বক বসাইয়া দিতেই কুণ্ড আবিভূতি হইল এবং গঙ্গা প্ৰত্যক্ষীভূত হইরা জলে ভরিয়া দিলেন। শ্ৰীকৃষ্ণ সেই কুণ্ডে স্নান করিয়া কুণ্ডকে বরপ্ৰদান করিলেন, আমার এই মানস-গঙ্গায় যে সুন্নান-তৰ্পণ করিবে সে গঙ্গায় স্নান তৰ্পণের সমস্ত भन्मन क्रा । VSS