পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৫

ভারত-ভ্ৰমণ f “নান্তি গঙ্গাসমংতীৰ্থং বারাণস্যাং বিশেষতঃ । তত্ৰাপি মণিকৰ্ণাখ্যং তীৰ্থং বিশ্বেশ্বরপ্ৰিয়ম ৷ অর্থাৎ বারাণসীধামে গঙ্গার মত কোনও তীর্থ নাই, আবার বিশ্বেশ্বরের প্ৰিয় মণিকণিকা তীর্থের তুল্যও কোন তীর্থ নাই। কথিত আছে যে প্ৰাচীনকালে এ স্থান ঘোরতর অরণ্যানীসন্ধুল ছিল, সে সময়ে বিষ্ণু মহাদেবের আরাধনায় নিযুক্ত থাকিয় আপনার কুন্তল হইতে একটা মণি হারাইয়া ফেলিয়াছিলেন -সে নিমিত্ত ইহার নাম মণিকর্ণিকাঘাট হইয়াছে, এ বিষয়ে আরও নানাপ্ৰকার কিম্বদন্তী শুনিতে পাওয়া যায়, – সে সকলের আলোচনা নিম্প্রয়োজন। भू*ांन९ (शांत लक्षां९ 5ठ९ । শবমৌলি সমাকীর্ণং দুৰ্গন্ধং বহুধমকং ॥” কাশীর মহাশ্মশান । এমন সময় নাই, যে সময়ে এখানে একটী না একটা চিতা না জ্বলে ! হায়! মোহান্ধ মানব, এই তোমার শেষ পরিণাম ! সুখপুষ্ট দেহের এই শেষ যজ্ঞ ! সাধের লীলাখেলার শেষ যবনিকা এখানেই পতিত হয় ! অই যে শবদেহ ভস্মীভূত হইতেছে -আই যে তাহার আত্মীয়বাগ সজল নয়নে চাহিয়া রহিয়াছে- একদিন সে আমাদেরি মত ছিল, আমাদেরি মত হাসিয়া খেলিয়া বেড়াইয়াছে।--আজ তাহার শেষ চিহ্ন চিরদিনের মত পৃথিবীর বুক হইতে অদৃশ্য হইতেছে। হায়! শ্মশান। —সাম্যের ঘোষণা জগতে যদি কেহ করিয়া থাকে সে তুমি- যদি দীন দরিদ্র হইতে সম্রাটের মণি-রত্ন-মণ্ডিত মুকুটের প্রতিও দৃকপাত না করিয়া বিজয় ঘোষণা কেহ করিয়া থাকে। সে তুমি । সত্য সত্যই তুমি শিব-সুন্দর। শ্মশানের পাৰ্ম্মে দাড়াইয়া কত কথা ভাবিলাম, মুহূৰ্ত্তের জন্য আত্মহারা হইতে হইয়াছিল। মণিকর্ণিকার সম্মুখেই তারকেশ্বর দেবের মন্দির অবস্থিত। কথিত আছে। যে এই তারকেশ্বর দেব অন্তিম সময়ে কাশীবাসী নরনারীগণকে তারকন্দ্ৰব্ৰহ্ম জ্ঞান প্ৰদান করিয়া থাকেন। এস্থানে এই পবিত্র তীর্থের পূত সলিল স্পর্শ করিবার জন্য সহস্ৰ সহস্ৰ লোকের প্রত্যহ সমাবেশ চক্ষণ-পঢ়িকা। ইয় থাকে। এই ঘাটের উপরে বিষ্ণুর চরণ পাদুকা। झुके হয়। কিম্বদন্তী এইরূপ ষে ভগবান বিষ্ণু যখন মহাদেবের আরাধনা করেন >文