পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cशांकूल। কেলিঘাটে এইরূপ কিম্বদন্তী প্ৰচলিত আছে যে, গোপীগণ শ্ৰীকৃষ্ণের বংশী চুরি করিয়া তাহার সহিত এই স্থানে নানাপ্রকার ক্রীড়া করিতেন। এই জনশ্রুতি হইতেই ইহার নাম কেলিঘাট হইয়াছে । কেলিঘাটের অনতিদূরে নন্দ-যশোদা ঘাট অবস্থিত। এই ঘাটে শ্ৰীকৃষ্ণসহ যশোদা দেবী যমুনার পুণ্য সলিলে স্নান করিতে আসিতেন বলিয়া এই স্থানের নাম নন্দ-যশোদা ঘাট হইয়াছে। এই ঘাটের উপরিভাগে দুৰ্গাপ্রাকারাকারে এক উন্নত বাসভবন অবলোকন করিলাম— পাণ্ডারা ইহাকে নন্দের আবাস ভবনের চিহ্ন বলিয়া দর্শকের নিকট বৰ্ণনা করেন। উহা আমাদের নিকট যথাৰ্থ বলিয়া অনুমিত হইল না। গোকুলে দেখিবার আর কিছুই নাই। গোকুল হইতে আমরা মহাবিন দেখিতে চলিলাম। গোকুল হইতে ঐস্থান প্ৰায় এক মাইল দূরে অবস্থিত । আমাদের এক্কা গাড়ীর সঙ্গে সঙ্গে ছোট ছোট বালকগণ ভিক্ষা প্রার্থী হইয়া मझदिन । দৌড়িতে আরম্ভ করিল এবং যে পৰ্য্যন্ত ইহাদিগকে দুই চারিটীি পয়সা না দেওয়া গেল, সে পৰ্য্যন্ত কিছুতেই ইহারা আমাদের গাড়ীর সঙ্গে সঙ্গে দৌড়াইতে ক্ষান্ত রহিল না। গাড়ীর পিছনে পিছনে দৌড়াইয়া দুই চারিটি সামান্য পয়সা প্ৰাপ্তির জন্য এ সকল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শিশু যেরূপ পরিশ্রম করিয়া থাকে, তাহা ভাবিলে ইহাদের ভবিষ্যৎ জীবনের প্রতি সকলেরই হৃদয়ে সমবেদনার উদয় হয়। সুকুমার শৈশব হইতেই ইহারা নিজ নিজ চরিত্রকে এইরূপ ঘুণিত করিয়া তোলে যে, ভবিষ্যৎ জীবনে আর কিছুতেই সংশোধন করিতে সক্ষম হয় না। মহাবিন একটী ছোটখাট সহর। গোকুল অপেক্ষ। বরং এ স্থানেই কিছু প্ৰাচীন চিহ্ন দেখিতে পাওয়া যায়। ইহার চারিদিকেই অট্টালিকা-সমূহের ভগ্নস্তৃপরাশি বিদ্যমান। এ স্থানে দ্বাপরযুগের শ্ৰীকৃষ্ণ-লীলার বহু দৃশ্য দর্শন করাইয়া পাণ্ডাঠাকুরের ভক্ত যাত্ৰি গণের হৃদয়ে ভক্তি উদ্দীপিত করিয়া থাকে । “আশীখাম্ব” নামক যে অট্টালিকার ভগ্নাবশেষ দর্শন করিলাম, তাহাই নাকি প্রাচীন নন্দভবন। এই ভগ্ন অট্টালিকার ভিতরে কয়েকটি অংশ “যশোদার সূতিকাগৃহ, কৃষ্ণের ক্রীড়াস্থান ইত্যাদি নামে অভিহিত দেখিলাম। বর্তমান সময়ে ইহা একটী পরিত্যক্ত মসজিদের ভগ্নাবশেষে পরিণত হইয়াছে। হিন্দুধৰ্ম্ম-বিদ্বেষী \OS