পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কানপুর। ঘূণা, ক্ৰোধ, দ্বেষ ফুটাইয়া তুলে, জাতিতে জাতিতে মিলিতে দেয় না, অবিশ্বাস ও প্ৰতিহিংস উৎপাদন করে, ক্ষমার শান্তি ইহাতে আসিতে দেয় না। সম্প্রতি কলিকাতায় লালদীবীর কোণে অন্ধকূপহত্যার স্মৃতি-নিদর্শন স্তম্ভটীও এইরূপ জাতিগতাবদ্বেষবহ্নি জ্বালাইয়া তুলিবার আর একটী । স্থূলতার ইন্ধন হইয়াছে। যে ভারতের সর্বত্র দয়া-দান-ভক্তির নিদর্শনে ছাইয়া রহিয়াছে, সেই ভারতে মানবের নিষ্ঠরতার স্মৃতি জগাইয়া রাখিবার জন্য এরূপ চিরস্থায়ী ব্যবস্থা করা আমার মতে নিতান্ত বিসদৃশ। এই সকল ভাবিতে ভাবিতে বাসায় আসিয়া পৌছিলাম। সুন ও আহারাদির পর বিশ্রাম করিয়া আমরা অপরাহ্নে নগর দেখিতে বাহির হইলাম, প্ৰথমেই “মেমোরিয়াল’ উদ্যানে যাওয়া গেল। ইহা ‘ক্যাণ্টনমেণ্ট” বা সেনাবাসের নিকটে অবস্থিত। কানপুরের সেনাবাস গঙ্গার দক্ষিণ তীরে প্রায় ১০ বৰ্গ মাইল স্থান ব্যাপিয়া অবস্থিত। সৈনিক-বিভাগের কৰ্ম্মচারী এবং ইউরোপীয় ব্যতীত এই সেনাবাসেই প্ৰায় ৬০,০০০ হাজার লোক বাস করিয়া থাকে, এতদ্ব্যতীত ৭০ ০০ হাজার সৈন্যের বাসোপযোগী স্থান আছে! ইহা হইতেই । পাঠকবর্গ এই সেনাবাসের বিরাটত্ব সহজেই উপলব্ধি করিতে পারিবেন। উদ্যানের বিষয় বলিবার পূর্বে পাঠকবর্গকে সিপাতী-লিঙ্গ - - “ সংক্ষিপ্ত ইতিহাস না দিলে “ পরিবেন না"