পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sacists ভ্ৰানটির নাম দেশীলোকের মুখে শুনিলাম "ইটাওয়া’ বা ‘ইটাবা”। ইংরাজীতে “এটোয়া’ হইয়া দাঁড়াইয়াছে। কাজেই বিদেশী বাঙ্গালী আমরা রেলগাড়ীর সময়-নিরূপক পুস্তিকাখানির কৃপায় “এটােয়াই বলিয়া থাকি। পশ্চিমের যে সকল স্থান স্বাস্থ্যকর জল-বায়ুর জন্য সুপরিচিত এটোয়া ও তাহার মধ্যে একটা প্ৰধান। অনেকে জল-বায়ু পরিবর্তনের নিমিত্ত এখানে আসিয়া থাকেন। অতি প্ৰত্যুষে গাড়ী আসিয়া এটােয়ায় পহুছিল। একদিনের বেশী। এখানে থাকিব না, তাহা পূর্বেই সিদ্ধান্ত করিয়াছিলাম, কাজেই সরাইয়ের দিকেই ছুটিলাম ; কিন্তু সরাইয়ের নিকট পহুছিয়া তাহার যে অবস্থা দেখিলাম তাহাতে আশ্চৰ্য্য হইয়া গেলাম। কতকগুলি লম্বা লম্বা ইতর জনোচিত খোলার ঘর তাহাও আবার বহুকালের মধ্যে মেরামত হয় নাই। বাড়ীর মধ্যস্থলে সুবৃহৎ অক্ষরে রাশীকৃত আবৰ্জনা ? কি বীভৎস দৃশ্য। সেখানে ক্ষণমাত্রও বিলম্ব না করিয়া, নগরের ইতস্ততঃ করিয়া বাসা ঠিক করিতেই বেলা প্ৰায় নয়টা হইয়া গেল। পাঠকবগের নিকট আমার একটা অনুরোধ যে তাহার যেন কখনো Railway guideএর লিখিত বৰ্ণনামত সর্বত্রই ধৰ্ম্মশালা বা সরাইয়ের আশ্রয় গ্ৰহণ করিতে সঙ্কল্প না করেন, তাহা হইলে অধিকাংশস্থলেই প্ৰতারিত হইবেন। রেলওয়ে ষ্টেসন হইতে এটােয়ার নগর ভাগ প্ৰায় এক মাইল দূর হইবে। বাসায় আসিয়া প্ৰাত:কৃত্য সমাপন করিয়া যৎকিঞ্চিৎ জলযোগ করতঃ নগর দর্শনে বাহির হইলাম। ক্ষীণকায়া যমুনানদীর দক্ষিণতীরে এটোয়। নগর অবস্থিত। এটোয় একটী ক্ষুদ্র নগর, অসমতল তরঙ্গায়িত উচ্চ ভূমির উপরে অবস্থিত। প্রথম দর্শনে বোধ হয় যে, ইহা কোনও পার্বত্য প্রদেশ, কিন্তু ইহার নিকটের কথা ছাড়িয়া দাও, দূরেও কোনও পাহাড় নাই। নগরের নিম্নে ক্ষীণকায়া সলিলহীনা। যমুনার কোন শোভাসৌন্দৰ্য্যও নাই ; কিন্তু নদীর শোভা না থাকিলেও নদীর ঘাটের শোভা অনেকটা সে অভাব পূর্ণ করিয়াছে। ঘাটগুলি পরিপাটিরূপে বাঁধান Հե k