পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এটােয়। পরিধান করে, তাহাতে সৌন্দৰ্য্য বৃদ্ধি করা দূরে থাকুক। বরং আমাদের নিকট নিতান্ত অশোভনীয় বলিয়াই মনে হইয়াছিল। এখানে বাঙ্গালী একরূপ নাই বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। রাজপথে দু’একজন বাঙ্গালীও দেখিয়াছি কি না তাহাও সন্দেহ । এটোয়ার জলবায়ুর শ্রেষ্ঠতার নিমিত্ত সময় সময় স্বাস্থ্য পরিবর্তনের নিমিত্ত বাঙলা দেশ হইতেও কেহ কেহ আসিয়া বাস করিয়া থাকেন। এখানে দুগ্ধ, মাখন, ঘূত ইত্যাদি পুষ্টকর খাদ্য দ্রব্য সুলভ। মৎস্য বেণী পাওয়া যায় না। হিন্দুস্থানীরা ডাল রুটি খাইয়াই উদর পূৰ্ত্তি করিয়া থাকেন। যদিও মিষ্টান্ন। এখানে বেশী রকমের দেখিলাম না, তথাপি রসনাপরায়ণ প্ৰত্যেকেই শুনিয়া সুখী হইবেন যে এখানকার আহাৰ্য্য মিষ্টান্ন দ্রব্যাদি খুব সস্তা। সন্ধ্যার ধূসর ছায়া ধরার গায়ে ব্যাপ্ত হইবার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা এটোয়া পরিত্যাগ করিলাম। স্থানীয় লোক সংখ্যা প্ৰায় ৩৯,২০০ হইবে। এটোয়া জেলায় এটোয়াই প্ৰধান নগর। এটোয়ার জুমা মসজিদটিকে কোন কোন প্রত্নতত্ত্ববিদ, পঞ্চম শতাব্দীতে নিৰ্ম্মিত বৌদ্ধ-মন্দিরের রূপান্তর বলিয়া মনে করেন । - · මණ්ථ