পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t দিল্লীর সিংহাসন প্ৰাপ্তির লোভে বহু সৈন্য সংগ্ৰহ করিয়া ইনি যুদ্ধে প্ৰবৃত্ত হন, কিন্তু যুদ্ধে পরাজিত হইয়া এস্থানে বন্দী অবস্থায় থাকেন এবং পরিশেষে ১৬২১ খ্ৰীষ্টাব্দে এখানেই মানবলীলা সংবরণ করেন। উদ্যান মধ্যে তিনটা মৰ্ম্মর প্রস্তর নিৰ্ম্মিত সমাধির মধ্যে খসরু, পারবেজ এবং সমাটের মাড়োয়ারী বেগম অর্থাৎ খসরু-জননী অনন্ত নিদ্রায় অভিভূত আছেন। খসরুর সমাধিটি অষ্ট কোণ । ইহার বহির্ভাগে বেশ কারুকাৰ্য্য আছে। ভিতরে চিত্রাবলীর রঙ এখনও সর্বত্র উঠিয়া যায় নাই। খসরু বাগের নিকটে বাদশাহী সরাইখানা পড়িয়া আছে । ইহার প্রশস্ত অঙ্গনে এখন প্ৰত্যহ মাছ তারকারীর বাজার বসে ।। ঘরগুলি কিন্তু এখনও বাসোপযোগী আছে। এখানকার ইদারাটি বড় ভাল । তলদেশ হইতে কৃপমুখ-সমস্তই ইট দিয়া বাঁধান। পার্শ্বদেশ দিয়া কৃপ মধ্যে জলের কিনারা পৰ্য্যন্ত যাইবার সিঁড়ি আছে। খসরু জননীর সমাধিটি অপর দুইটী হইতে একটু বিশেষ ভাবাপন্ন। ইংরাজেরা এক সময়ে এই সমাধি গৃহের দ্বিতলের হলে বিলিয়ার্ড খেলিবার আডিডা করিয়াছিলেন । মৃত রাস্ত্রীর কবরের প্ৰতি এতটা উপেক্ষা ও অসম্মান দেখান ভাল হয় নাই ! ইহা ব্যতীত আর একটা প্ৰস্তর নিৰ্ম্মিত সুন্দর অট্টালিকা আছে—উহা কেন নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল তাহা বুঝা যায় না। উহা এখন শূন্য পতিত রহিয়াছে। ইংরাজ রাজের আলফ্রেড পার্ক অপেক্ষা খসরুবাগের জমী অল্প হইলেও উদ্যান রচনার কৌশল ও পারিপাট্য এই বাদশাহী বাগানেই অধিকতর মনোরম ও কৌশল সম্পন্ন বলিয়া মনে হইল। এখানকার বৃক্ষলতাদিও যেন সেখানকার অপেক্ষা উৎকৃষ্ট শ্রেণীর। যাহা হউক, গভমেণ্টের হস্তে খসরুবাগের শ্রেষ্টত্ব ও শোভা যে বজায় আছে, সেজন্য ধন্যবাদ না করিয়া। থাকা যায় না। এই কীৰ্ত্তি রক্ষা সংকল্পই ইংরাজ রাজের রাজ্যোচিত মহানুভবতার নিদর্শন। এখানকার সমাধি মন্দিরগুলি যে এক সময়ে 战鸭 সুদৃশ্য ছিল, তাহা ইহাদের অভ্যন্তরস্থ* লুপ্তপ্ৰায় চিত্রাবলী হইতে স্পষ্ট উপলব্ধি হয়। খসরুবাগ আয়তাকার ক্ষেত্র। ইহার প্রবেশের তোরণদ্বার সুদৃশ্য । খিলানটি অতি উচ্চ। হাওদা সমেত হাতী অনায়াসে প্রবেশ টুকরিতে পারে। কপাটে কবজা নাই। উপর নীচে কীলকে আবদ্ধ থাকিয়া 89) ৩৩৭