পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলাহাবাদ । কে তুমি গোপনে চালাইছ মোরে আমি যে তোমারে খুজি ৷৷ ” । সেদিন বাসায় ফিরিয়া হতভাগ্য খস্রষ্ণর কথাই কেবল মনে হইতেছিল, মনে হইতেছিল—ধন জন গর্বের বৃথা কাহিনী! হায় ঐশ্বৰ্য্য তৃষ্ণা,—হায় রাজসিংহাসন ! কি মোহিনী শক্তিতেই তুমি মানবকে মোহান্ধ করিয়া ফেল যে ইহার প্রলোভনে লোক স্নেহের ভক্তির প্রেমের সকল সম্বন্ধ ভুলিয়া যায়, সকল বন্ধন ছিন্ন করে, আপনাদিগকে স্বার্থের দাস পশু বলিয়া পরিচয় দিতে লজজ পায় না । রাত্ৰি সুখের ঘুম ঘোরে কাটিয়া গেল, ভোরের পাখী যখন ডাকিতেছিল —উষা সুন্দরী যখন তরুণ অরুণ কনক কিরণে আপনাকে সুসজ্জিত করিয়া বলিতেছিলেন, ওঠ ওঠ নর নারী একবার আমায় দেখ, তখনি আমরা গাত্ৰোত্থান করিয়া হস্ত মুখ প্ৰক্ষালনের পর আবার নগর দেখিতে বাহির হইলাম । তখন পৰ্য্যন্ত রাজপথে তেমন একটা উদাম কোলাহল জাগিয়া ওঠে নাই। আমরা ধীরে ধীরে যমুনার সেতুর সম্মুখে উপস্থিত হইলাম। এই সেতুটি দেখিতে বৃহৎ ও সুন্দর। ইহার নিৰ্ম্মাণ-কৌশল বড়ই চিত্তাকর্ষক, ২০৫ ফুট অন্তর অন্তর ৯৫ ফুট উচ্চ চৌদ্দটা স্তম্ভের উপর এই পুলটি অবস্থিত। দৈর্ঘ্যে ইহা প্রায় ৩২২৪ ফুট দীর্ঘ হইবে। সেতুর উপরিভাগ হইতে নিম্নস্থ যমুনা \g sets মিলন দৃশ্য বড়ই সুন্দর—রজত সলিলা গঙ্গা নীল সলিলা যমুনার সহিত মিলিত হইয়া সাগরে মিলিতে চলিয়াছেন । বক্ষে কত শত তরী । এই সেতুটি দুই ভাগে বিভক্ত, প্রথম তল দিয়া বাষ্পীয় শকট যাতায়াত করে, আর দ্বিতীয় তল দিয়া লোকজন গমনাগমন করিয়া থাকে। ইহার গঠননৈপুণ্য বাস্তবিকই ইংরাজ জাতীর ইঞ্জিনিয়ারিং বিদ্যার অপুর্বল পরিচয়। এখান হইতে বেণীঘাট দর্শনে যাত্ৰা করিলাম । পথে মহাষি ভরদ্বাজের আশ্রম যাইবার পথ পাইয়া আমরা প্ৰথমে তাহ। দশন করিতে চলিলাম। যে স্থানে একদিন ঋষি ভরদ্বাজ বাস করিতেন এখন সে স্থানে কয়েকটি অৰ্দ্ধভগ্ন দেবালয় এবং ইষ্টক স্তুপ ব্যতীত আর কিছুই দেখিতে পাইলাম না। কোথায় शभूनांद्र cनट्र । ভরদ্বাজের আশ্রম ।