পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এলাহাবাদ । কোথাও এত বড় সুদৃশ্য দ্বার নাই। আমরা দুর্গের ইতস্ততঃ ঘুরিয়া ফিরিয়া দর্শন করিলাম—তেমন বিশেষত্ব কিছুই দেখিলাম না। প্ৰসিদ্ধ অক্ষয় বট কেল্লা মধ্যস্থ এক অন্ধকারাচ্ছন্ন ভূগর্ভে দৰ্শন করিলাম। শাস্ত্রানুযায়ী এই অক্ষয় বটমূলে র্যাহার প্রাণত্যাগ হয় তিনি তৎক্ষণাৎ রুদ্রলোক প্রাপ্ত হন। “বট মূলং সমাসাদ্য যস্তু প্ৰাণান পরিত্যজেৎ । সৰ্পর্নালোকান্নতিক্রম্য রুদ্রলোকং স গচ্ছতি ৷ (মৎস্যপুরাণ) ঢালুপথে প্ৰদীপালোকের সাহায্যে আমরা অক্ষয় বট দৰ্শন করিয়াছিলাম। অনুমান পাচফুট উচ্চ এবং দুই ফুট ব্যাস বিশিষ্ট একটী কাঠের গুড়িকে “অক্ষয় বট” বলিয়া পাণ্ডারা পরিচয় দিয়া থাকেন। সুপ্ৰসিদ্ধ চৈনিক পরিব্রাজক য়ুয়নচয়ঙ, মহম্মদ গজনির সমসাময়িক আবুরহান, ঐতিহাসিক আব্দলকাদের প্রভৃতি প্রত্যেকেই এই বৃক্ষের নামোল্লেখ করিয়াছেন—এসমুদয় দ্বারা অনুমিত হয় যে এই স্থানে ১২০০ বৎসরের পূর্বেও একটা বৃহৎ বটবৃক্ষ ছিল। সহর ক্রমশঃ উন্নত হইতে আরম্ভ করিলে পর বৃক্ষটা ক্রমশঃ মৃত্তিকাভ্যন্তরে ডুবিয়া গিয়াছিল। অবশেষে কোনও দৈব ঘটনায় (সম্ভবতঃ যে হিন্দু রাজা প্ৰয়াগ-দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করেন, তাহার দ্বারা খননকালে উহার শুষ্ক মূলভাগ ও উহার পাশ্বস্থ শিবমন্দিরাদি আবিষ্কৃত হয়। হিন্দুরাজত্বকালে হয়ত দুৰ্গমধ্যে এই অংশ পরিস্কৃত রাখা হইয়াছিল। পরে কালক্রমে আবার ইহার উপর মাটি পড়িলে আকবরের দুৰ্গনিৰ্ম্মাণের সময়ে ইহার পুনরাবিষ্কার হয় ও সম্ভবতঃ র্তাহার দ্বারাই শিবমন্দিরের উপরিভাগ দুর্গপ্রাঙ্গণের সহিত সমতল করা হয়, এবং বোধ হয় তিনিই অভ্যন্তরভাগ পরিষ্কার করাইয়া সিড়ি ও স্তন্ত্যাদি। দ্বারা সুঠাম ও সুরঞ্জিত করিয়া দিয়াছিলেন। আকবর হিন্দুর প্রার্থনানুসারে এই স্থানটী একেবারে নষ্ট করেন নাই। ভূ-গর্ভকে পাণ্ডারা পাতালপুরী বলেন। পাতালপুরী হইতে বাহির হইয়া আমরা উপরে আসিলাম আকবরের সময়ও গাছটা জীবিত ছিল বলিয়া মনে হয়। ঐতিহাসিক আবদুলকাদের এই গাছের বর্ণনায় লিখিয়াছেন যে এই বৃক্ষের উপর হইতে স্বৰ্গকাম যাত্রীরা ত্ৰিবেণী-সঙ্গমে কঁপি দিয়া প্ৰাণত্যাগ করিত। এখন এই বৃক্ষের যে শুষ্ক 囚卒孤可ö1 ৩৪১