পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sਫ प्क्रिल्ली ছাড়িয়া অবধি মহাভারতের রঙ্গভূমি। त्रैभझाङशवछ्ौऊांद्र জন্মভূমি, আৰ্য্যগণের প্রথম যজ্ঞভূমি “ব্ৰহ্মবেদী’ কুরুক্ষেত্ৰ দেখিবার জন্য প্ৰাণটা বড় ব্যস্ত হইয়াছিল, কাজেই আর কোথাও যাইবার পূর্বে ধৰ্ম্মক্ষেত্র কুরুক্ষেত্র দর্শনে রওয়ানা হইলাম। থানেশ্বর ষ্টেশনে নামিয়া এক্কা ভাড়া করিয়া সহরের দিকে চলিলাম। সহরটি ষ্টেশন হইতে দেড় মাইল দূরে, সুতরাং পহুছিতে বিলম্ব হইল না। বাসা ভাড়া, বিশ্রাম আহারাদি ইত্যাদি। অবশ্য কৰ্ত্তব্য কাৰ্য্যগুলি সারিয়া নগর দর্শনে বাহির হইলাম। সহরটি কুরুক্ষেত্ৰ ক্ষেত্রের কেন্দ্ৰস্থল, এবং সরস্বতী নদীর তীরে অবস্থিত। তীর্থকৃত্যের জন্য এখানে বহু যান্ত্ৰি সমাগম হয় বলিয়া ইংরাজ-রাজ সহরের | স্বাস্থ্য-ব্যবস্থার বহু স্ববন্দোবস্ত করিয়া দিয়াছেন। পূর্বকালে এখানে বৎসরের মধ্যে ৫/৬ লক্ষ লোকের আগমন হইত, এখন আর তত হয় না । এখন বার্ষিক যাত্রীর সংখ্যা লক্ষাধিক হইবে না। ভারতের সর্বপ্ৰধান রাস্তা গ্র্যাণ্ডটাঙ্ক রোড এই সহর হইতে দূরে পড়ায় এখানে ব্যাণিজ্য ব্যাপার তেমন বিস্তৃতি লাভ করিতে পারে নাই ; তবে সেকালে লাহাের হইতে যে বাদশাহী সড়ক বাদশাহী ফৌজের কুজ কাওয়াজ করিবার জন্য প্ৰস্তুত হইয়াছিল, ইহা তাহারই ধারে পড়ায় স্থানীয় বাণিজ্যের একটি নাতি ক্ষুদ্র কেন্দ্ৰ হইয়া আছে। নগরটির নাম ‘থানেশ্বর” নহে—“স্থানেশ্বরী’ বা “স্থায়ীশ্বর কুরুক্ষেত্ৰ—ক্ষেত্রের তীর্থপতি “স্থাণু' নামক মহাদেবের নাম হইতেই এখানকার নাম ‘স্থান্ধীশ্বর’ হইয়াছে। থানেশ্বর নগরে তীর্থ স্থানগুলি ব্যতীত আওরঙ্গজেবের মোগলপাড়া নামে এক দুর্গের ভগ্নাবশেষ ব্যতীত আর কিছু দেখিবার নাই। মুসলমানেরা এই নগরেই সর্বপ্রথমে ভারত সাম্রাজ্যের সূত্রপাত করে। এই পবিত্র তীর্থক্ষেত্রে দিল্লীপতি পৃথ্বীরাজ। মহম্মদ সাহেব-উদ্দিন ঘোরীর যুদ্ধে পরাজিত ও স্বৰ্গগত হন। পৃথ্বীরাজের রাজত্বই ভারতে মুসলমান রাজত্বের ভিত্তি। নগর প্রান্তে বিরাট বিপুল शनिश्न नींद्र । V8S