পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুরুক্ষেত্র। শ্ৰান্তিদূর ও পরামর্শ করিতেন !—কোথায় সেই কোন অতীতকালে দুই নরোত্তম। এই ঘাটে বসিয়াছিলেন,-এ স্মৃতি আজিও পুরুষ পরম্পরাক্রমে আমাদের ন্যায় দূরবর্তী কালের উত্তর পুরুষগণের নিকটেও বাহিত হইয়া আসিতেছে! হিন্দুর স্মৃতি-নিদর্শন রক্ষার মহিমা অপর জাতিতে বুঝিতে পরিবে না । হ্রদের জল মধ্যে মধ্যে শুকাইয়া গিয়াছে । এই সকল শুষ্ক স্থানের অনেক স্থলই আবার বর্ষায় ভরিয়া উঠে। ইহার প্রতি ঘাটই একটা না একটী তীর্থের স্থান, কাজেই তীর্থযাত্রীর প্রদত্ত ফুল তুলসী বিহুপত্ৰ ও নৈবেদ্যের পাতার দোনায় ঘাটগুলি আবৰ্জনা পূর্ণ হইয়া থাকে। পাণ্ডারা তীৰ্থস্বামী বটে, এই সকল তীর্থের আয়ই তাঁহাদের উপজীবিকা হইলেও তঁাহারা এই যে তঁহাদের এই পুরুষানুক্রমে প্ৰাপ্ত অক্ষয় বাণিজ্যাগারটি কে পরিষ্কার করাইয়া যাত্রীর সুবিধা এবং স্বাস্থ্য-বিধানে । সহায়তা করিবেন, তাহা করেন না, কাজেই হ্রদের জল খুব গভীর, পরিষ্কার বা স্বাস্থ্যকর নহে। হ্রদের মধ্যস্থলে একটি দ্বীপ আছে। দ্বীপটি নিতান্ত। ক্ষুদ্র নহে, প্ৰায় ৫৫০ ফুট হইবে। এই দ্বীপে একটী দেবমন্দির আছে। ঐ দেবমন্দিরে যাইতে হইলে হ্রদতীর হইতে উত্তর দক্ষিণে দুইটী সেতুর উপর দিয়া যাইতে হয়। মহারাষ্টগৌরব মহারাজ শিবাজী এই সেতু নিৰ্ম্মাণ করাইয়া ছিলেন, কেহ কেহ বলেন রাজা বীরবলের নিৰ্ম্মিত। এই দ্বীপের এক পাশ্বে একটা দুর্গের ভগ্নাবশেষ আছে । পুরাণ বর্ণিত ‘চন্দ্ৰকৃপ’ তীর্থ, দ্বীপের মধ্যে পশ্চিমাংশে বৰ্ত্তমান । দুর্গটি হিন্দুদ্বেষী মোগল বাদশাহ আওরঙ্গজেব নিৰ্ম্মাণ করাইয়া ছিলেন। উহার নাম মোগলপাড়া দুর্গ। নাম হইতে অনুমান হয়, আওরঙ্গজেবের সময় এই দ্বীপে মোগল পল্লী বসান হইয়াছিল। পাণ্ডাদিগের নিকট শুনিলাম, এখানার দুৰ্গস্বামী বাদশাহের আদেশে মধ্যে মধ্যে মনুষ্য-শিকারের খেলা খেলিতেন। কোন তীর্থস্থান উপলক্ষে যখন হ্রদের চতুদিকে যান্ত্রি সমাগম হইত, তখন দুৰ্গস্বামী সসৈন্যে হ্রদতীরে আসিয়া তীর গুলি ও বর্ষার আঘাতে ‘কাফের বলিয়া নিরীহ হিন্দুতীর্থযাত্রীদিগকে বধ করিতেন ! কথাটা শুনিয়া আপাদমস্তক তড়িদ্ধেগে শিহরিয়া উঠিল !-ভাবিলাম ভারতের সিংহাসনে বসিয়াও যে ব্যক্তি আপন ভরণপোষণের জন্য cभांगक्श्रांऊं छूरीं । (Ocs