পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उछद्म-कभe । প্ৰজার ধন গ্ৰহণ করিত না, নিজে পরিশ্রম করিয়া সন্মাচুমকীর কাজে আপনার জীবিকাৰ্জন করিত ;—সেই সদ্ধািৰ্ম্মাপরায়ণ, সংযতমনা, মহানুভব সম্রাট কি সত্যসত্যই এতটা পশু হইতে পারেন ? --অথবা ইহা কল্পনা করিলেও পাপ হয় ? জানিনা এই দুই বিপরীত বর্ণনার সামঞ্জস্য ইতিহাসে কোথাও আছে কি না ? অতঃপর আমরা তীৰ্থপতি স্থাশ্ৰীশ্বর মহাদেবের মন্দিরে প্রবেশ করিলাম। মধ্যস্থলে অনাদি লিঙ্গ বিরাজিত । মন্দিরটি নাতি বৃহৎ ও আধুনিক । শুনিলাম বহু প্ৰাচীন কাল হইতে এই তীর্থের উপর মুসলমানের অত্যাচার চলিয়া আসিতেছে। যেদিন পৃথ্বীরাজের ধ্বংস হইল, তাহারও বহু পূর্বের গজনীয় সুলতান মামুদ এই তীর্থক্ষেত্র আক্রমণ করিয়া বহু দেবালয় ভগ্ন এবং ধনরত্নাদি লুণ্ঠন করিয়া লইয়া যান। এখানে তখন “চক্রস্বামী’ নামে এক বিষ্ণু মূৰ্ত্তির অতি উচ্চ ও সুদৃশ্য মন্দির ছিল । দেব প্ৰতিমায় অনেক বহুমূল্য রত্ন খচিত এবং রত্নালঙ্কার ছিল। মামুদ মন্দির ধ্বংস করিয়া দেবমূৰ্ত্তি গজনীতে লঈয়া যান। সাহেব।উদ্দীন পৃথ্বীরাজকে জয় করিয়া এই তীর্থক্ষেত্রের দুই শত মন্দির ধ্বংস করেন এবং সম্রাট কুতুবউদ্দীন এখানকারও ইন্দ্ৰপ্ৰস্থের দেবমন্দিরাদি ভাঙিয়া তাহারই উপকরণে দিল্লীর প্ৰথম সাধারণ মসজিদ নিৰ্ম্মাণ করান। তাহার পর যিনিই যখন সম্রাটু হইয়াছেন, এই তীৰ্থ তাঁহারই হস্তে অল্পবিস্তর অত্যাচার সহ্য করিয়াছে। আওরঙ্গজেবের সময়েই তীর্থ ধ্বংস সম্পূর্ণ হইয়াছিল। এখন এখানে একটীিও প্রাচীন হিন্দু দেবালয় নাই। আকবরের ন্যায় সমদৰ্শী সম্রাটের সময়েও মানসিংহের ন্যায় অতুল ক্ষমতাশালী রাজপুত বীর ও রাজধানীর এত নিকটে অবস্থিত বলিয়া এখানে কোন সংস্কার-সাধন বা পুনর্গঠনাদি করিতে সাহস পান নাই। তাহা দ্বারা বৃন্দাবনের মন্দিরাদির উদ্ধার হইয়াছিল কিন্তু মোগল রাজধানীর পার্শ্বে অবস্থিত তীর্থরাজ কুরুক্ষেত্রের কোনই উপায় হয় নাই। এই সকল শুনিয়া মনে হইল, ভগবান হিন্দুর প্রতি এইটুকু করুণা প্ৰকাশ করিয়াছেন যে, রাজধানীর এত নিকটবৰ্ত্তী হইলেও মুসলমান বাদশাহুদিগের আদেশে “কাফেরের' এই তীৰ্থ স্থান পৃথিবীর উপরিভাগ হইতে একেবারে বিলোপ করিয়া দেওয়া হয় নাই বা হিন্দুদিগকে স্থানচ্যুত OGR স্থাশীশ্বর মন্দির।