পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৪৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vess-rate ছিল। বিশ্বামিত্র তীর্থে একটী কারুকার্য্য বিশিষ্ট মন্দিরের ভগ্নাবশেষ দেখিলাম। এই তীর্থ ও মন্দির প্রায় ৪০ ফুট একটী উচ্চস্তুপের উপর সরস্বতীর দক্ষিণকুলে অবস্থিত। মন্দিরমধ্যে ঐরাবতারোহী ইন্দ্ৰমূৰ্ত্তি এবং নবগ্রহ ও অষ্টনায়িকার মূৰ্ত্তি আছে। থানেশ্বরের নিকট পুরাণোক্ত বৃদ্ধকম্ভক বা কন্যাতীর্থ, স্বৰ্গদ্বার, সোমতীর্থ, দ্বৈপায়ন, বামতীর্থ, রামহ্রদ, মুঞ্জবঁট বা স্থাশীশ্বর, পঞ্চবটী, নরকতীৰ্থ প্রভৃতি প্রধান। দ্বৈপায়নতীর্থের নামই দধীচিতীর্থ। বেদেও এই তীর্থের নাম আছে। ইহার বৈদিক নাম শৰ্য্যাণাবত সরোবর । এই তীর্থ ইন্দ্রের সোমপানস্থল ৷ এখানকার সোম দেবতাদিগের ও পিতৃগণের বিশেষ প্রিয় ছিল। বেদে শৰ্য্যৰ্ণাবতে প্ৰস্তুত সোমের বহু প্ৰশংসা দেখা যায়। য়ুয়ান-যুয়াঙের ভ্রমণবৃত্তান্তে কুরুক্ষেত্ৰকে একটী স্বতন্ত্র রাজ্য বলিয়া বৰ্ণনা করা হইয়াছে। উহার রাজধানীর নাম ছিল সর্ঘণা। বৰ্ত্তমান সুঘ বা মঘা নামক গ্রামেই ঐ নগর ছিল, কেহ কেহ এই অনুমান করেন। বৈদিক “শৰ্য্যাণা’ যে খৃষ্টীয় ৭ম শতাব্দীতে ‘সর্ঘণ” হয় নাই, তাহা কে বলিল ? এতদ্ভিন্ন পেহোবাগ্রামের কিছু দূরে কপালমোচনতীর্থ ও কামোদগ্রামের কাম্যবন বিশেষ বিখ্যাত । এই কাম্যাবনেই পাণ্ডব বনবাসকালে অবস্থান করিতেন । এই স্থানে দ্ৰৌপদীর রন্ধনশালার স্থান দেখাইয়া পাণ্ডারা ‘দ্ৰৌপদীকাভাণ্ডারের” পরিচয় দেন। কুরুপাণ্ডবের স্মৃতি ও বৈদিককালের স্মৃতি এখানে বহু তীর্থে বিজড়িত। অংশুমতী নদী বুড়ীযমুনার একটী ক্ষুদ্র শাখা । ইহ বেদবিখ্যাত-নদী। এই নদীতীরে দশ সহস্র সৈন্য পরিবুত কৃষ্ণাসুরকে ইন্দ্ৰ বিনাশ করেন। তদবধি ইহা আৰ্য্যতীর্থ হইয়াছে। কুরুক্ষেত্র যে কেবল মহাভারতযুগের ও মুসলমানযুগের যুদ্ধভূমি তাহা নহে; বৈদিকযুগেও এই ক্ষেত্ৰে আৰ্য্য-অনাৰ্য্যের যুদ্ধ ঘটিয়াছিল। আৰ্য্যগৌরবের চিরBDDDB BDBD DD BD SS S BBDSDD BBD BBBB SuBDDD বা ইন্দ্ৰতীর্থ নামক তীৰ্থ বৰ্ত্তমান। ভরদ্বাজ কন্যা প্ৰভাবতীর সহিত এই স্থানে ইন্দ্রের বিবাহ হয়। বদরীপাচন তীৰ্থও এই প্ৰভাবতী ও ইন্দ্রের বিবাহ মুলক আর একটী তীর্থ। থানেশ্বরের অৰ্দ্ধক্রোশ পশ্চিমে ‘ঔজসঘাট বা তৈজস তীৰ্থ, বৰ্ত্তমান। এই স্থানে ব্ৰহ্মা দেবগণ ও ঋষিগণ ૭48