পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কুরুক্ষেত্র। কাৰ্ত্তিকেয়কে দেবসেনাপতি পদে অভিষিক্ত করেন। যদি অনুমান করা যায় যে তারকাসুর নিধনকালে এই তীর্থস্থানের নিকট দেবতাদিগের “মিলিটারী হেড কোয়াটার” ছিল, তাহা হইলে বোধ হয় অন্যায় হয় না । এতদ্ভিন্ন ঋণমোচক কিন্দ ও কুপতীর্থ, নাগতীর্থ, নাগোস্তেদ, বারাগ্রামের বরাহতীৰ্থ, উর্ণাসগ্রামে রেণুকান্তীর্থ প্রভৃতি প্ৰধান তীর্থ স্থানে যাত্রীরা সর্বদা যাতায়াত করেন। বাস্থলীগ্রামে ব্যাসবন ও ব্যাসস্থলী তীর্থ কৌশিকী ও সরস্বতী-সঙ্গমের নিকট অবস্থিত। শুনিলাম। এই স্থানে পুত্ৰশোকে ব্যাসদেব আত্মহত্যা করিতে গিয়াছিলেন—ব্যাসের নামে এরূপ উদ্ভট উপাখ্যান এই প্ৰথম শুনিলাম। ব্যাসের এই মায়ার পুতলী পুত্ৰটী যে কে ছিল তাহা জানিতে পারিলাম না-ক্ষেত্ৰজপুত্ৰ পাণ্ডু ও ধৃতরাষ্ট্রের জন্য কি কোন দিন এই শোক উথলিয়া উঠিয়াছিল নাকি ? নতুবা শুকদেবের মরণকথা কোথাও শুনি নাই ! অতঃপর কুরুক্ষেত্র দর্শন আমরা শেষ করিয়া বাসায় ফিরিলাম। সম্বরণের ঔরসে সূৰ্য্যকন্যা তপতীর গর্ভে কুরু নামে যে পুত্রের উৎপত্তি হয়, তঁহার নামানুযায়ীই কুরুক্ষেত্রের নাম হইয়াছে, তিনিই কুরুক্ষেত্ৰাধিপতি ছিলেন তিনি দেববরে এই ক্ষেত্রকে মুক্তিক্ষেত্ৰ করিয়া গিয়াছেন। তঁহারই বংশে কৌরব ও পাণ্ডবের জন্ম হয়। তঁহাদের সময়ে রাজধানী কুরুক্ষেত্ৰ হইতে স্থানান্তরিত হইয়াছিল। পাণ্ডুবংশের শেষ রাজা ক্ষেমক নরপতির সময় পৰ্য্যন্ত এই স্থান চন্দ্ৰবংশীয় ক্ষত্ৰিয়গণের অধিকারে ছিল, পরে কালের আবৰ্ত্তনের সঙ্গে সঙ্গে কান্যকুব্জাধিপতিগণের অধিকারভুক্ত হয় । চৈনিক পরিব্রাজক য়ুয়ান-চুয়াঙ্গের ভ্ৰমণকাহিনী হইতে জ্ঞাত হওয়া যায় যে বর্ষদেবের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা স্থাষীশ্বর-রাজ মালবিরাজ কর্তৃক পরাজিত হন, তঁাহার দেহাবসানের পরে পুনরায় হর্ষদেবই স্থানীশ্বরের রাজা হন। এই স্থানীশ্বরই যে স্থানে তিনি এই অস্থিসঞ্চার দেখিয়াছিলেন, সেই স্থানেই এখন ‘স্বস্তিপুর’ বা “অস্থিাপুর’ নামক গ্রাম ও তীর্থ বৰ্ত্তমান। থানেশ্বর এবং অনুমিত হয় স্থান্ধীশ্বর রাজ্যই কুরুক্ষেত্ৰ, তৎকালে কুরুক্ষেত্র ৫০ ০ ১ ক্রোশের অধিক (৭০০০ লি) বিস্তৃত ছিল, ७२० এস্থানে डिनी বৌদ্ধসঙ্ঘারাম, शैनयम মতাবলম্বী ৭০০ সাত শত ईलिश्ाम ।