পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-ভ্ৰমণ । এখন এখানে আরও অনেকগুলি সমাধি প্ৰস্তুত হইয়াছে এবং সকলগুলি একটী ক্ষুদ্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন উদ্যানে বেষ্টিত হইয়াছে। প্রতি বৎসর হিন্দু মুসলমান—বহু যাত্রী এই সমাধি স্থানে আসিয়া থাকে। এখানে একটা গাছ ও একটী লম্বা দড়ি ঝুলান আছে। প্ৰবাদ যে কোন মানস করিয়া ফকীরকে স্মরণপূর্বক এই দড়িতে গ্ৰন্থি দিয়া যে সীরণি মানত করা যায়, ফকীর সাহেব তাহা পূর্ণ করেন। মানসসিদ্ধির আশায় হিন্দুযাত্রীর ংখ্যাই প্ৰতি বৎসরে বেশী হইয়া থাকে। সীরণিতে এখানে ন্যানকল্পে /১০ পোয়া-চাউল দিতে হয় বলিয়া শুনিলাম। ফকীর সাহেবের পুত্রের কবরও এখানে আছে। শুনিলাম সমাধি-মন্দিরটা কোনও দিল্লীর বাদশাহের নিৰ্ম্মিত—সম্ভবতঃ ফকীরের শত্ৰ জীহঁাগীরই শেষকলে তাহার অলৌকিক শক্তিতে মুগ্ধ হইয়া ইহা প্ৰস্তুত করাইয়া দিয়া থাকিবেন। চুনার রেলওয়ে ষ্টেশন হইতে দক্ষিণদিকে অৰ্দ্ধ মাইল দূরে “দুৰ্গাকুণ্ড” নামে একটী পার্বত্য কুণ্ড আছে। এই কুণ্ড হইতে ‘জাগৃগকেনালা’ নামে একটি অপ্ৰশস্ত অথচ গভীর নালা বাহির হইয়াuছ। এই নালার ঠিক উত্তরে ভগবতী কামাক্ষী দেবীর একটি মন্দির আছে। এই মন্দিরের নিকট আর একটী ক্ষুদ্র কিন্তু প্ৰাচীন মন্দির আছে। সে মন্দিরের দ্বার বন্ধ থাকায় ভিতরের দেবতার পরিচয় পাইলাম না । নালার উপর একটা কামাখীদেবীর সেতু আছে। সেতুটি চুনারের বেলেপাথরে নিৰ্ম্মিত-বড় মন্দির । সুদৃশ্য। এই সেতু পার হইয়া তিনুটী পাৰ্বত্য মন্দির দেখিতে পাওয়া যায়। মন্দির তিনটা পৰ্পর্বত কাটিয়া প্ৰস্তুত করা হইয়াছে। উহাদের ভিত্তিগাত্রে নানা দেবদেবীর ও পশুপক্ষীর চিত্র খোদিত আছে। এখানে অনেকগুলি শিলালিপি উৎকীর্ণ দেখিলাম । কতযুগের কত প্রকারের অক্ষরেই এই সকল লিপি খোদিত তাহা বলিয়া শেষ করা যায় না। দুর্গাকুণ্ডের আরও কিছু দূরে “দুৰ্গাখো” নামে এক গুহা মন্দির আছে শুনিয়া আমরা উহা দেখিতে গেলাম। শুনিলাম । প্ৰতিবৎসর নবরাত্রির পর অর্থাৎ দুর্গোৎসবের পর এখানে একটী মেলা হয়। এই মেলায় বিস্তর লোক সমাগম হয়। “দুৰ্গাখো” দেখিলেই মনে হয় যে উহা স্বভাবসিদ্ধ গুহা নহে, যেন কোনও প্রাচীনকালে এখান (OS