পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

। नांद्र । হইতে পাথর কাটিয়া তুলিয়া লওয়া হইত, শেষে কোনও কীৰ্ত্তিমানের অভিপ্ৰায়ে ও ব্যয়ে সেই প্ৰস্তরখানিকে গুহার আকারে কাটাইয়া উহার মধ্যে স্তস্তাদির ব্যবস্থা করিয়া উহাকে দেবীমন্দিরে পরিণত করা হইয়াছে। মন্দিরের মধ্যে মহিষমৰ্দিনী দেবী মূৰ্ত্তির প্রস্তরফলক প্রতিষ্ঠিত আছে। এই গুহাতেও প্রাচীন অক্ষরে খোদিত শিলালিপি দেখিলাম। এই দেবীপ্রতিমা মীৰ্জাপুরের বিন্ধ্যবাসিনী দেবীর ন্যায় প্ৰসিদ্ধা । স্থানীয় লোকের বিশ্বাস দেবী। খুব জাগ্রত। এখানে বহু যাত্রীর সমাগম হয়। ‘জাগৃগৎনালা’ পর্বত হইতে নামিয়া ঘুরিয়া ফিরিয়া সমতল স্থানে বহু বিস্তৃত আকার ধারণ করিয়াছে। চুনার রেলওয়ে ষ্টেশনের ১০ মাইল দূরে এই ক্ষুদ্র নদীর গর্ভ ও বেলাভূমির বিস্তার অতি অধিক। রেল লাইন এই গিরিনদী পার হইবার জন্য একটা সপ্ত খিলান বিশিষ্ট সেতুর উপর দিয়া গিয়াছে। প্রত্যেক খিলানের বিস্তার ৬০০ ফুট। এই সেতুটীি চুনারের বেলে পাথরে নিৰ্ম্মিত—অতি সুদৃশ্য। অতঃপর আমরা দুর্গ দর্শনে অগ্রসর হইলাম। পথে যাইতে যাইতে শুনিলাম যে ইংরাজেরা এই স্থানের নাম চুনার” করিয়া লইয়াছেন,-আসলে ইহার নাম “চনার” । যে পৰ্ব্বতের উপর দুর্গ নিৰ্ম্মিত হইয়াছে উহার নাম চরণাত্ৰি পাহাড়। পাহাড়ের যে অংশটিতে দুর্গ অবস্থিত, তাহার আকার ঠিক পদচিহ্নের ন্যায়। গঙ্গার দিকে নিম্নমুখে পদচিহ্নের অঙ্গুলিভাগ এবং পর্বতের শিখর স্থানে গুলফভাগ অবস্থিত। প্ৰবাদ এই শ্ৰী রামচন্দ্র যখন সেতুবন্ধে “রামেশ্বর’ স্থাপন করেন, তখন মহাদেব কৈলাস পর্বত হইতে দক্ষিণ দিকে যাইবার সময়ে মধ্যস্থলে এই পৰ্ব্বতের শিখরে একটি চরণের ভর রাখিয়া গিয়াছিলেন। সেই অবধি এখানে এই পদাঙ্ক ছিল। তৎপরে যিনি এখানে প্ৰথম দুৰ্গ নিৰ্ম্মাণ করেন, তিনি সেই পরম পবিত্র পদচিহ্নের আকারের চতুষ্পার্শ্বে প্রাচীর দিয়া ঘিরিয়া সমস্ত পদচিহ্নটাকেই দুৰ্গভুমি করিয়া লয়েন। পৌরাণিক কাল হইতে এই দুর্গের বাৰ্ত্তমানত কল্পিত হয়। তাহা ছাড়িয়া দিলে। শুনা যায় যে রাজা বিক্রমাদিত্যের ভ্রাতা ভর্তৃহরি বৈরাগ্য অবলম্বন করিয়া । গঙ্গাতীরে এই পবিত্র পদাঙ্কতীর্থে আসিয়া যোগাশ্রম স্থাপন করেন ও फूनां ब्र६ ।। ৩৬৩