পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চুনার। চন্দনের গন্ধ পাওয়া যায় এইরূপ প্ৰবাদ আছে। কদম রসূল— গড়ের নিকটে ইমান বক্সের মসজিদ নামে এক মসজিদ আছে। উহার মধ্যে একখানি কৃষ্ণ প্রস্তরের মধ্যে চরণের সম্মুখস্থ অৰ্দ্ধাংশ বিদ্যমান। চুনার দুর্গ হইতে ইংরেজ গভমেণ্ট দেবমূৰ্ত্তি সমূহ স্থানান্তরিত করিবার সময় মুসলমানগণ এই প্ৰস্তরখণ্ড মসজিদে আনিয়া রাখিয়াছেন। মুসলমানগণ ইহাকে “কদম রসুল’ নামে অভিহিত করিয়াছেন—আর হিন্দুগণ ইহাকে শ্ৰীকৃষ্ণের “চরণ পাদুক’ বলিয়া অভিহিত করে। পৌরাণিক মতানুসারে ভগবানের যে দুইটী চরণ পৃথিবীতে পতিত হয়, তাহার মধ্যে দক্ষিণ চরণের চিহ্ন এই প্ৰস্তরে পতিত হইয়াছে এইরূপ প্ৰবাদ । আর মুসলমানেরা বলেন মারুজ নামক একজন হাজি মক্কা হইতে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন কালে দুইটী কদমরসুল আনয়ন করেন এবং তৎকালিন সম্রাট ফিরোজ শাহকে তাহার একটা উপহার দেন ইহা সেই কদম রাসুল। যদিও এই চরণচিহ্ন মসজিদে আছে তথাপি বহু হিন্দুযাত্রী ইহা দৰ্শন মানসে আগমন করেন। কাশী নরেশের বৃত্তিপ্রাপ্ত একজন ব্ৰাহ্মণ ইহার সেবা করিয়া থাকেন। চুনারের জল বায়ু অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। এখানকার প্রস্তর ভারত প্ৰসিদ্ধ। এইরূপ পাতলা স্তর বিশিষ্ট প্ৰস্তর আর কোথাও দেখিতে পাওয়া যায় না । তামাকের নিমিত্তেও চুনারের খ্যাতি আছে। যখন এস্থানে ইংরেজ সৈনিকাবাস ছিল তখন প্ৰায় সমুদয় দ্রব্যাদিই পাওয়া যাইত। সে সময়ে এ প্রদেশ অত্যন্ত জাঁকাল ছিল—এখন আর পূর্ব সমৃদ্ধি বিদ্যমান নাই। চুনারের পাথরের শিল্পকাৰ্য্য অত্যন্ত উৎকৃষ্ট । খ্ৰীষ্টান মিশনারীরাও একদিন এখানে ধৰ্ম্ম প্রচার কাৰ্য্যে ব্যাপৃত ছিল। - ✓©Nኃዓ