পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਫਓ লমীৰ্জাপুর নিজে তীৰ্থস্থান নহে, দেখিবারও তেমন কিছুই নাই, তবে ইহারই অতি নিকটে বিন্ধীবাসিনীর মন্দির, সেখানে যাইতে হইলে পূর্বে এই ষ্টেসনেই নামিতে হইত, তবে মন্দিরের নিকট “বিন্ধ্যাচল’ নামে ষ্টেসন হইয়াছে। আমরা বেলা প্ৰায় এগার-বারোটার সময় মীৰ্জাপুরেই নামিলাম । পরদিন রাত্রির গাড়ীতেই আবার মীৰ্জাপুর পরিত্যাগ করিব স্থির করিয়া এক ধৰ্ম্মশালায় আশ্রয় লইলাম। আহারাদির আয়োজন আরম্ভ হইয়া গেল,—পরদিন প্রত্যুষে বিন্ধ্যাচল যাইতে হইবে স্থির করিয়া আমর রন্ধনের অবকাশে মীর্জাপুর দেখিতে বাহির হইলাম। এখানে প্ৰাচীন ঐতিহাসিক কিছুই দেখিবার নাই। দর্শনীয় বস্তু সমূহের মধ্যে গঙ্গার তটশোভা অতি সুন্দর, প্ৰস্তর নিৰ্ম্মিত সুন্দর ঘাটগুলি, আধুনিক সুদৃশ্য হিন্দু মন্দিরের এবং মুসলমানী মসজিদের শ্রেণী, ইওরোপীয়গণের নয়নাকর্ষক বৃহৎ বৃহৎ সৌধমালা বড়ই সুন্দর। ঘাটগুলির চাতালে ভাস্কর-শিল্পের অপূর্ব নিপুণতা দেখিতে পাওয়া যায় ; গঙ্গার দক্ষিণ কুলে এই নগর অবস্থিত। হিন্দু অধিবাসীর সংখ্যাই অধিক। ধনী বাণিকদিগের প্রস্তরময়ী প্ৰাসাদতুল্য অট্টালিকা সকলের শোভা দেখিয়া মন মুগ্ধ হইল। প্রস্তরে খোদিত তোরণদ্বার, কাৰ্ণিস, রেলিং, থাম, দরজা, জানালার চৌকাঠ, অলিন্দ অতি অপূর্ব কারুকাৰ্য্যময় এবং আধুনিক ভাস্কর্ঘ্যের অপূর্ব নিপুণতার পরিচায়ক। নগরের উপকণ্ঠে অধিকতর ধনীগণের অতি সুদৃশ্য উদ্যান ও আবাস ভবন আছে। নদীর নিম্ন দিক হইতে ইহার উচ্চ তীর ভূমির ক্রমোচ্চ বন্ধুর স্তর বিন্যাসের শোভা এবং স্তরে স্তরে সুদৃশ্য প্রস্তরময় সৌধরাজি মন্দিরাবলী এবং মন্দির সমূহের শোভা বড়ই চিন্তাকর্ষণী এবং মনােমুগ্ধকারিণী। উত্তর পূর্বদিকে নদীর সহিত সমান্তরালভাবে একটী প্ৰশস্ত রাস্তার ধারে ইংরাজ-পল্পী। এই স্থানেই , ইউরোপীয়দিগের সুবিন্যন্ত অট্টালিকাদি ব্যতীত গির্জা, স্কুল, অনাথ-আশ্রিম এবং লণ্ডন মিশনের আশ্রম আছে। আফিস আদালতও V9Woly