পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চড়ে শ্বেত ময়ূর ও হরিদ্বর্ণ ময়ূরের কেকারবে বন থাকিয়া থাকিয়া প্ৰতিধ্বনিত হইয়া উঠিতেছে এবং সেই শব্দে নিশ্চিন্ত জলচর পক্ষীরা চমকাইয়া দল বঁধিয়া উড়িয়া যাইতেছে!—আমাদের ঘরের নিম্নেই বলুন আর পার্শ্বেই বলুন বিন্ধ্যবাসিনীর ঘাট !—বিরাট পাষাণময় সোপানশ্রেণী জলের মধ্যে নামিয়া গিয়াছে। তীর্থযাত্ৰিগণের সুন্নানের এইটা প্ৰধান ঘাট। পর্বতের স্তারানুসারে ঘাটের দিকে এই ধৰ্ম্মশালার গায়ে এক একটী চাতাল নিৰ্ম্মিত হইয়াছে, সকালে সন্ধ্যায় উহার উপর যাত্রীরা এবং গ্রামবাসী সাধুসজ্জন এই সকল স্থানে বসিয়া পূজা পাঠ ও সদালাপ করেন। আমরা এই স্থানে আমাদের দ্রব্যাদি রাখিয়া গঙ্গা স্নান করিয়া দেবী দর্শনে চলিলাম। ঘাট হইতে কিয়দপুরে পাহাড়ের এক সমতল ক্ষেত্রে মায়ের মন্দির ও মন্দির প্রাঙ্গন প্ৰস্তুত। প্রাঙ্গন সহ মন্দির চত্বর পর্বত পৃষ্ঠ কাঠিয়া সমতল করা হইয়াছে। প্ৰাঙ্গণের চতুদিকে উপাসক, পূজক ও তীর্থযাত্রীরা চণ্ডীপাঠ এবং হোমে নিযুক্ত । নবরাত্রির সময় চত্বরের মধ্যস্থলে বিশাল হোমকুণ্ড প্ৰস্তুত হয় এবং নয় দিন ক্ৰমাগত তাহাতে হোম হয়, রাত্ৰিতেও অগ্নি নিবিতে দেওয়া হয় না । চত্বরের এক কোণে প্ৰাচীন কয়েকটা বৃক্ষ আছে। অঙ্গনে যুপকাষ্ঠ আছে। ইহার চারিদিকে পাণ্ডাদিগের বাড়ী। এই সকল পাণ্ডারও যাত্রীর অধিকার নির্দেশক ‘খাতা’ আছে। মায়ের মন্দির সুগঠিত নহে, বন্ধুর কঠিন প্রস্তরে নিৰ্ম্মিত। মন্দিরের গর্ভস্থলে যাইতে সঙ্কীর্ণ গলি পথ দিয়া ঘুরিয়া যাইতে হয়। মন্দির মধ্যে এক কুলঙ্গীতে দেবী প্রতিমা আছেন। কাশীর দুর্গামূৰ্ত্তি, অন্নপূর্ণ ও সঙ্কটামায়েরমূৰ্ত্তি যে পাথরে গঠিত,-ইহাও সেইরূপ এবং সেইরূপ স্বর্ণমুখ মণ্ডিত। দেবীর অষ্টভূজা বা সিংহবাহনাদি লাঞ্ছন সর্বদা দেখা যায় না। নবরাত্রির সময় আবার একবারেই দেখা যায় না। দেবীমূৰ্ত্তি বস্ত্রাবৃত থাকেন শুনিলাম দেবী विक्षदानिनौन छूझे भूर्द्धि,-4झे भन्शिएशन 7श् भूéिई cडभिभूखैि, (डांशभांश ও বিন্ধ্যবাসিনী নামে খ্যাত এবং দূরে পর্বত শিখরে যে মূৰ্ত্তি আছেন তিনিই যোগমায়া নামে খ্যাত। কংস হস্তভ্ৰষ্ট দেবীই তিনি—সে দুৰ্গম স্থানে ভক্তেরা সর্বদা যাইতে পরিবে না বলিয়া দেবী ভক্তের প্রতি কৃপা করিয়া এই সমতল ক্ষেত্রের নিকটে এই স্থানে আবিভূতি হইয়া আছেন। \ \Syāv9