পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डाइट-खभ• । গ্রামের এক ব্রাহ্মণী আসিয়া বসিয়া থাকে ও যাত্রীদিগের মাথায় কুণ্ডজল ছিটাইয়া দিয়া এক পাই, আধ্য পয়সা, এক পয়সা মাত্র দর্শনী লয়। স্থান চতুদিকের ঘন বৃক্ষচ্ছায়ায় কতকটা অন্ধকার। কুণ্ডদ্বয়ের জলধারা গড়াইয়া সমতল ভূমি বাহিয়া গঙ্গায় গিয়া পড়িতেছে। এখানে সেরূপ যাত্রী সমাগম হয় না। তৎপরে আমরা আবার পাহাড় বহিয়া উঠিয়া ভৈরবকুণ্ড দর্শনে চলিলাম। একটু দূর যাইতেই দেখিলাম—কি ভীষণ স্থান ! দুইদিকে দুরারোহ পর্বত! প্রাচীর গাত্রের মত সোজা নহে, স্তর বিভক্ত, বন্ধুর এবং কতকটা গৰ্ত্ত, কতকটা যেন বাহিরে ঝুকিয়া আছে! মধ্যস্থানে অতি উচ্চ স্থান পৰ্য্যন্ত পাহাড় যেন সুবিন্যস্ত সিড়ির ন্যায় স্তরে স্তরে উঠিয়া গিয়াছে। দেখিলেই যেন মনে হয় একটা জল প্ৰপাত শুষ্ক হইয়া গিয়াছে। স্থানটী ত্রিভুজাকৃতি । ত্রিভুজের উভয় বাহু স্থানের পর্বত দুরারোহ,-- ভূমিভাগ উভয় বাহুর মধ্যস্থ খোলা স্থান একবারে গঙ্গা পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত। উভয় বাহুর মিলন স্থানই জলপ্রপাত সদৃশ । এই পৰ্বতের শিখর দেশ এত উচ্চ যে মাথা তুলিয়া দেখিলে ভয়ের সঞ্চার হয়। ত্রিভুজের দুই বাহুস্থ পাহাড়ে এত ঘন নিবিড় বন যে দ্বিপ্রহরে সূৰ্য্যরশ্মি প্ৰবেশ করিতে পারে না। স্তর বিন্যস্ত প্রপাত সদৃশ পৰ্ব্বত গাত্রে গাছ পালা নাই, কেবল সর্ব শেষে শীর্ষ স্থানে এক অতি বিস্তৃত বৃহৎ শাখা প্ৰশাখাযুক্ত শিমূল গাছ :--হিতোপদেশের “অস্তি গোদাবরী তীরে বিশাল শাল্মলী তরু ঃ”-যে কি পদার্থ তাহা এইখানে বেশ অনুভব করিলাম। এই শুষ্ক প্ৰপাতের মাঝামাঝি একস্থানে ব্ৰহ্মকুণ্ডের ন্যায় একটা কুণ্ড আছে,-তাহাই ভৈরবকুণ্ড । সেখানে শ্বাপদের আশঙ্কা থাকায় রিক্ত হস্তে আমরা কেহ গেলাম না । ভৈরবকুণ্ডের ভৈরবভাব স্মরণ করিতে করিতে আমরা সীতাকুণ্ড পাহাড়ে চড়িলাম। সীতাকুণ্ড পাহাড়ের এক একস্থানে একটু লাফাইয়া কঁপাইয়া চড়িতে হইল। কিন্তু শেষে উঠিয়া বড় তৃপ্তি পাইলাম । পৰ্বত শীর্ষে এতক্ষণ বেড়াইতেছি কিন্তু এমন খোলাস্থান পাই नांशे । সম্মুখে গঙ্গাতীর পর্য্যন্ত খোলা। পশ্চাদিকে সোজা দুরারোহ পাহাড়ে বামে ব্রহ্মকুণ্ড যাইবার পার্বতা পথ দক্ষিণে অতি উচ্চ পর্বত—তাহাতে উঠিবার জন্য শতাধিক ধাপ সিঁড়ি গাথা আছে। তখন আমরা খুব ক্লান্ত, Šሪዓሀ”