পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vest-use পূর্ণ বৰ্ম্ম বোধিবৃক্ষের মূলের চতুর্দিকে ২৪ ফুট উচ্চ প্রাচীর গাঁথিয়া দেন এবং বজাসন বালুকামধ্য হইতে আবিষ্কত করেন । এখন বোধিবৃক্ষ বলিয়া যে গাছটি দেখিলাম সেটি পাণ্ডাদের কথায় বুঝিলাম যে সেই প্রাচীন মূল হইতে উৎপন্ন কিন্তু তাহার মূলদেশ পরীক্ষায় আমরা বিশেষ কিছু বুঝিতে পারিলাম না। কলিকাতার চিত্রশালায় (মিউজিয়ামে) কতকগুলি শুষ্ক খণ্ড কাষ্ঠ প্ৰাচীন বোধিদ্রুমের অংশ বলিয়া রক্ষিত আছে। এক্ষণে এখানে অশোকের মহা বোধি মন্দির, তাহার অশোকনিৰ্ম্মিত প্ৰস্তর বেষ্টনী, মন্দিরের তোরণ দ্বার মহাবােধিসঙ্ঘারামের ভগ্নাবশিষ্ট স্তৃপ, বােধিদ্রুম, বজাসন চৈত্য, প্ৰাঙ্গণ মধ্যস্থ বিহারের ভগ্নাবশেষ, বজাসন প্ৰভৃতি দেখিবার প্রধান বিষয়। হিন্দুর স্থাপত্য-শিল্প সম্বন্ধে গবেষণা করিতে হইলে এই স্থানটি যেমন উপযোগী এমন বাঙলাদেশে আর কোথাও নাই। গয়াতীর্থ বৰ্ণনায় হিন্দুর তীর্থ কৃত্যের সামান্য আভাস দিয়াছি। এই বোধিদ্রুম মূলে পিতৃপুরুষগণের স্বৰ্গার্থে পিণ্ডদান করা হিন্দুতীর্থ যাত্রীর আর একটি প্ৰধান কৰ্ত্তব্য। হিন্দুরা কোন সময়ে বৌদ্ধবিদ্বেষী হইলেও ভগবান বুদ্ধদেবকে ভগবান নারায়ণের নবম অবতার বলিয়া স্বীকার মাত্র করিয়া যে দূরে সরিয়া দাড়াইয়াছিলেন তাহা নহে। বৌদ্ধদিগের প্রধান তীর্থ ভূমি যেটি, সেটিকে আপনাদের পিতৃপুরুষগণের স্বৰ্গারোহণের দ্বার স্বরূপ স্বীকার করিয়া লইয়া সেখানে পিণ্ডদানের ব্যবস্থা করিয়াছেন। ‘‘গায়ামাহাত্ম্য’, ‘গায়াপদ্ধতি” প্ৰভৃতি প্রাচীন শাস্ত্রেও এই মহা বােধিবৃক্ষকে নারায়ণরূপী ভগবান বলিয়া পূজা করিবার ব্যবস্থা ও তন্মলে পিণ্ড দানের ব্যবস্থা দেখা যায়। ‘চলদলায় বৃক্ষায় সর্বদা স্থিতি হেতবে, বোধিসত্ত্বায় যজ্ঞায় অশ্বদ্যায় নমো নমঃ একাদশৌসি রদ্রনাম বায়ুনাং পাবকস্তথা, নারায়ণোশিদেবানাং বৃক্ষরাজসী পিপ্পল অশ্বথ যম্মাৎত্বয়ি বৃক্ষরাজ নারায়ণঃ স্তিষ্ঠতি সৰ্বকালং। অত শুভ স্তং সততং তরুণাম ধান্যসি দুঃ স্বপ্ন বিনাসোসি।” OOR