পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুরী বা জগন্নাথ । সুবৰ্ণ হাত গোড় করি। গড়হি দেব দণ্ডধারী।” রাজা পরে করযোড়ে কিরূপে জগন্নাথদেবের পূজা ইত্যাদি সম্পাদিত হইবে তাহা জিজ্ঞাসা করায় নারায়ণ বলিলেন যে “শবর নামীয় যে ব্যক্তি অরণ্যাভ্যন্তরে আমার অৰ্চনা করিত তাহার পুত্ৰ পশুপালক দৈত্যপতি ও তাহার বংশধরগণ দৈত্যপতি নামে চিরকাল আমার পূজা করিবে, আর বলভদ্ৰ গোত্রের “সুয়ার”গণ আমার রন্ধন কাৰ্য্য নির্বাহ করিবে। এখানে জাতিভেদ থাকিবে না, চণ্ডাল হইতে ব্ৰাহ্মণ পৰ্য্যন্ত সমগ্ৰজাতিই এস্থানে একত্ৰ বসিয়া ভোজন করিতে পরিবে।” রাজা ইন্দ্ৰদু্যাম্বের প্রতি জগন্নাথদেব এইরূপ আদেশ প্ৰদান করিয়া অন্তহিত হইলেন। ইন্দ্ৰদ্যুম্ন তঁাহার আদেশ মত সেবার সমুদয় বন্দোবস্ত করিয়া দিলেন, অস্থাপিও সেই নিয়মেই পূজাদি নির্বাহিত হইতেছে। আমাদের লিখিত এই প্ৰবাদটি বাঙলার ঘরে ঘরে শুনিতে পাওয়া যায়, কেবল যে বঙ্গদেশেই ইহা সীমাবদ্ধ তাহা নহে, ওড়িষ্যার অধিবাসিগণের মধ্যেও এইরূপ প্ৰবাদ প্রচলিত আছে। শিশুরাম, মুকুন্দরাম, মাগুনিয়া দাস প্রভৃতি উৎকলবাসী ব্যক্তিগণ র্যাহারা জগন্নাথদেবের বিবরণ লিখিয়া গিয়াছেন। তঁহাদের প্ৰত্যেকের গ্রন্থেই এই প্ৰবাদের উল্লেখ আছে,-—তবে ভিন্ন ভিন্ন গ্ৰন্থকার গণের ভিন্ন ভিন্ন কল্পনার সাহায্যে প্ৰতি গ্রন্থে অল্পাধিক পরিবর্তন থাকিলেও তাহা ধৰ্ত্তব্যের মধ্যে নহে । আমরা পাঠকবগের নিকট ওড়িষ্যার ও জগন্নাথদেবের ঐতিহাসিক ও পৌরাণিক বিবরণ বিবৃত করিয়াছি এখন প্রত্নতত্ত্ববিদগণের তাহাদিগকে ইহার সম্পর্কে যৎকিঞ্চিৎ আধুনিক প্রত্ন , ! তত্ত্ববিদগণের মতামতও প্রদান করিলাম। হাণ্টার সাহেব ও ফাগুসন সাহেব তাঁহাদেৱ পুস্তকে লিপিবদ্ধ করিয়াছেন যে পুরীর প্রাচীন নাম “দন্তপুর” ছিল, মহাত্মা শাক্যসিংহের মৃত্যুর পর তাহার একটা দন্ত এই নগরে ছিল বলিয়াই নাকি এইরূপ নাম হয়। * তখন এ স্থান بين بصمميها من " In the uncertain dawn of Indian tradition, the highly spiritual Doctrines 'Buddha obtained shelter here; and the Golden Tooth of the founder remained for centuries at Puri, then the Jerusalem of the Buddhists, as it has for centuries been of the Hindus." Hunter's Statistical Account of Puri, 8.Σ.Σ.