পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুরী या अशब्रांथ। বৌদ্ধমূৰ্ত্তিাত্ৰয়ের অনুকরণ বই আর কিছুই নহে। সেই তিনটী भूखेिं বুদ্ধ, ধৰ্ম্ম ও শঙ্ঘ । বৌদ্ধের সচরাচর ঐ ধৰ্ম্মকে স্ত্রীরূপ বলিয়া বৰ্ণনা করিয়া থাকে। তিনি জগন্নাথের সুভদ্ৰা। শ্ৰীক্ষেত্রে বর্ণবিচার পরিত্যাগ প্ৰথা এবং জগন্নাথের বিগ্ৰহ মধ্যে বিষ্ণু পঞ্জরের অবস্থিতি প্ৰবাদ, এ দুটির বিষয় হিন্দু ধৰ্ম্মের অনুগত নয় ; প্রত্যুত নিতান্ত বিরুদ্ধ। কিন্তু এই উভয়ই সাক্ষাৎ বৌদ্ধ মত বলিলে বলা যায়। দশাবতারের চিত্রপটে বুদ্ধাবতার স্থলে জগন্নাথের প্রতিরূপ চিত্রিত হয়। কাশী এবং মথুরার পঞ্জিকাতেও বুদ্ধাবতার স্থলে জগন্নাথের রূপ আলেখিত হইয়া থাকে। এই সকল পৰ্য্যালোচনা করিতে করিতে জগন্নাথের ব্যাপারটি বৌদ্ধধৰ্ম্মমূলক বলিয়া স্বতই বিশ্বাস হইয়া উঠে। জগন্নাথ ক্ষেত্রটি পূর্বে একটা বৌদ্ধক্ষেত্ৰই ছিল, এই অনুমানটি জগন্নাথ বিগ্রহস্থিত উল্লিখিত বিষ্ণুপঞ্জর বিষয়ক প্রবাদে একরূপ সপ্ৰমাণ করিয়া তুলিতেছে। যে সময়ে বৌদ্ধেরা অত্যন্ত অবসন্ন হইয়া ভারতবর্ষ হইতে অন্তহিত হইতেছিল, সেই সময়ে অর্থাৎ খ্ৰীষ্টাব্দের দ্বাদশ শতাব্দীতে জগন্নাথের মন্দির প্রস্তুত হয়, ইহা পূর্বে সুস্পষ্ট প্ৰদৰ্শিত হইয়াছে। এই ঘটনাটিতেও উল্লিখিত অনুমানের সুন্দর রূপ পোষকতা করিতেছে। চীন দেশীয় তীর্থযাত্রী হিউএনথুসিঙ্গ উৎকলের পূর্ব দক্ষিণ প্রান্তে সমুদ্রতটে (অর্থাৎ উড়িষ্যার যে অংশে পুরী সেই অংশে) চরিত্রপুর নামে একটা সুপ্ৰসিদ্ধ বন্দর দেখিয়া যান। এই চরিত্রপুরই এক্ষণকার পুরী বােধ হয়। উহার নিকটে পাঁচটি অত্যুন্নত স্তুপ ছিল। শ্ৰীমান এ কানিংহেম অনুমান করেন, তাহারই একটী অধুনাতন জগন্নাথের মন্দির। স্তুপের মধ্যে বুদ্ধাদির অস্থিকেশাদি সমাহিত থাকে, এই নিমিত্তই জগন্নাথের বিগ্ৰহ মধ্যে। বিষ্ণু-পঞ্জরের অবস্থিতি বিষয়ক উল্লিখিত প্ৰবাদ প্রচলিত আছে।” প্রত্নতত্ত্ব সম্পর্কিত আলোচনা যতই বৃদ্ধি পাইতেছে ততই সাধারণের বহুকালের বিশ্বাসী সত্যগুলি কক্ষভ্রষ্ট হইয়া পড়িবার উপক্রম হইতেছে,—একদিকে প্রামাণিক সত্য, অপর দিকে বংশপরম্পরায় অমুস্থত ধৰ্ম্মের অন্ধ বিশ্বাস । আমরা এ বিষয়ে আমাদের ব্যক্তিগত কোনও মতামত প্ৰকাশ করিতে ইচ্ছা করি না,-এ সকল বিভিন্ন মতানুযায়ী আলোচনা পাঠকবর্গের কৌতুহলোদ্দীপক হইবে বলিয়াই এ স্থানে যত্বের সহিত সংগ্ৰহ করিয়া