পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৫৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুরী বা জগন্নাথ”। মাত্ৰ তাহার দ্রষ্টব্য স্থান সমূহের বিবরণ দিলেও ত তাহারা সন্তুষ্ট থাকিবেন না, কাজেই সংক্ষেপে আমরা তঁহাদিগের নিকট আবশ্যকীয় সমুদয় বৃত্তান্ত বিবৃত করিয়াছি এখন প্রকৃত ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করিব। ১৮০৪ খ্ৰীষ্টাব্দে খোর্দারাজের অধিকৃত সমুদয় স্থান যখন ব্রিটিস সাম্রাজ্যের পুৰুষোত্তমের অন্তৰ্ভক্ত হয় তখন পুরীর দেব-মন্দিরের সমুদয় ভার বৃটিশ সীমা ও মাহাত্ম্য। গভমেণ্টের হস্তে আইসে ও ইংরেজরাজ যাত্ৰিগণের নিকট হইতে কর আদায় প্ৰভৃতি করিতে থাকেন, কিন্তু খ্ৰীষ্টান মিসনারিগণের খ্ৰীষ্ট্রীয় গভৰ্মেণ্ট কর্তৃক এইরূপ হিন্দুমন্দিরের তত্ত্বাবধান অসঙ্গত বোধ হইল, তঁহাদের পুনঃ পুনঃ অনুরোধে গভৰ্মেণ্ট পুরীর রাজার উপরেই দেবসেবার ভার ও আয়ের উপযুক্ত তদানুসঙ্গিক সম্পত্তি ছাড়িয়া দিয়াছেন। তদবধি জগন্নাথের সকল কাৰ্য্যই উক্ত রাজা কৰ্ত্তক সম্পাদিত হইতেছে। নীলাদ্রিমহোদয়ের মতে জানিতে পারা যায় পুরুষোত্তমধামের মাহাত্ম্য ঋষিকুল্য নদী হইতে বৈতরণী নদী পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত। মহানদীর দক্ষিণ ও সাগরের উত্তরকুল নীলাচলের মধ্যে দশ যোজনের স্থানে স্থানেও শ্রেষ্ঠ তীর্থক্ষেত্র আছে। উৎকালখণ্ডের মতে এই পুরুষোত্তমক্ষেত্ৰ শ্ৰীভগবান কর্তৃক স্বীয় মূৰ্ত্তির অনুরূপ করিয়া সৃষ্ট হইয়াছে। কপিলসংহিতাকার বলেন, — “সৰ্বেষাং চৈব ক্ষেত্ৰাণাংরাজা শ্ৰীপুরুষোত্তমম | সৰ্বেষাঞ্চৈব দেবানাং রাজা শ্ৰীপুরুষোত্তমঃ ৷ { ॥৩৯ { অর্থাৎ পুরুষোত্তম ক্ষেত্র সকল তীর্থের রাজা এবং শ্ৰীশ্ৰীজগন্নাথদেবও সকল দেবতার অধিপতি । শ্ৰীক্ষেত্রের মাহাত্ম্য আরও বিশদরূপে ব্যক্ত করিবার জন্য নারদপুরাণ, ব্ৰহ্মপুরাণ ইত্যাদি নানা প্রাচীন ধৰ্ম্মগ্রন্থ অবলম্বন করিয়া চৈতন্যভাগবতকার যাহা লিখিয়াছেন তাহা উদ্ধত করিয়া দিলাম। তাহাতে বৰ্ণিত আছে— “সিন্ধুতীরে বটমূলে নীলাচল নাম। ক্ষেত্ৰ শ্ৰীপুরুষোত্তম অতি রম্যস্থান ৷ অনন্ত ব্ৰহ্মাণ্ডকালে যখন সংহারে । তবু সে স্থানের কিছু করিতে না পারে। । () SS a